পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গ্রেটার হায়দরাবাদ পুর কর্পোরেশন নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ১৫০টির মধ্যে টিআরএস ৫৬, বিজেপি ৪৯টি এবং এআইআইএমআইএম (মিম) জিতেছে ৪৩টি। এখানে কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছে।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন নির্বাচনে, ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে টিআরএস ৯৯টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল। অন্যদিকে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এইআইএমআইএম (মিম) ৪৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল। যেখানে বিজেপি সেসময়ে কেবল তিনটি পুর ওয়ার্ড জিততে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে জিতেছিল।
এবারের নির্বাচনে বিজেপি কার্যত সর্বশক্তি নিয়োগ করে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছিল। হায়দরাবাদের পুর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির ফায়ারব্রান্ড নেতা যোগী আদিত্যনাথ, স্মৃতি ইরানি,বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার মতো শীর্ষনেতারা।
যোগী আদিত্যনাথ হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন করে ভাগ্যনগর রাখার পক্ষে সাফাই দেওয়া সহ বিজেপি নেতারা নিজাম সংস্কৃতি নির্মূলের অঙ্গীকার করে মূলত ‘মিম’কে টার্গেট করেছিলেন। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সেকেন্দ্রাবাদ ও করিমনগরের নামও পরিবর্তন করা হবে বলে প্রচারণা চালানো হয়। বিজেপি নেতারা কার্যত মরিয়া হয়ে নির্বাচনী প্রচারে মেরুকরণের লক্ষ্যে রোহিঙ্গা,বাংলাদেশি,পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী ইস্যু উল্লেখ করে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তেলেঙ্গানা রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি এবং সংসদ সদস্য বান্ডি সঞ্জয় এক নির্বাচনী সভায় বলেন, আমাদের দল নির্বাচনে জিতলেই রোহিঙ্গা এবং পাকিস্তানিদের এক সার্জিকাল স্ট্রাইক করে পুরনো হায়দরাবাদ শহর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
একইভাবে টিআরএসমিম জোটের সমালোচনা করেছিলেন তাঁরা। যোগী আদিত্যনাথ ওই সময়েই রাজ্যে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী কঠোর আইন তৈরি করার ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের মধ্যে মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। যদিও এসব সত্ত্বেও টিআরএস সর্বাধিক ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। রাজ্যে জোট শরিক ‘মিম’-এর আসন সামান্য কমলেও তারা সাফল্যের ধারা মোটামুটি অব্যাহত রাখতে সমর্থ হয়েছে।
গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক তৎপরতা দেখে একসময়ে কটাক্ষ করেছিলেন, ‘মিম’ প্রধান ও হায়দরাবাদের সাংসদ ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘হায়দরাবাদের পুর নির্বাচনে একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচার করতে আসা বাকি রয়েছে।’ বিজেপি অবশ্য ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও ভালো ফল করে তারা দ্বিতীয় স্থানে যেতে সমর্থ হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন