পুবের কলম প্রতিবেদক: কবে হবে পুরভোট? এই প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এখনই পুরভোট করতে নারাজ নবান্ন। এর বদলে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভায় স্পেশাল অফিসার বাসানোর পক্ষেই ভাবনা রাজ্যের। যদিও নবান্নের তরফে এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি। নবান্ন সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্পেশাল অফিসার নিয়োগের পক্ষে আদালতে সওয়াল করা হবে। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফেও কিছু বলা হয়নি। তবে কমিশন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতার পুরভোট করতে হলে যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা এখন সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। এই কাজ শেষ করে নতুন তালিকায় ভোট করাতেও ন্যূনতম দেড় মাস সময় লাগবে। যা এই মুহূর্তে কমিশনের হাতে নেই। তাহলে এই অবস্থায় কীভাবে পুরভোট করা সম্ভব!
উল্লেখ্য, এ দিনই কলকাতা পুরনিগমের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা নিয়ে একটি বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেনি। তবে পুরনিগম সূত্রের খবর, নবান্নের পরিকল্পনার বিষয়টি এ দিন নিজেদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে।
এ দিকে রাজনৈতিক মহলে এখনই কলকাতা পুরনিগমে ভোট না হওয়া নিয়ে একটা অন্য গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। যদিও কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বা অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ মনে করেন, এখনই নির্বাচন হলে সিংহভাগ আসন জয়ের শক্তি রয়েছে তৃণমূলের। তবুও দলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর চান, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই অনুষ্ঠিত হোক পুরভোট। এমনিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এমনকী বিজেপি নেতারা কেউ কেউ ৩৫৬ ধারা (রাষ্ট্রপতি শাসন) জারি করার কথা বলছেন। এই অবস্থায় পুরভোটে হিংসা বিরোধীদের হাতে নতুন করে অস্ত্র তুলে দিতে পারে। প্রশান্ত কিশোর চান না, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন কিছু তৈরি হোক। আর সেই কারণেই তিনি বিধানসভা ভোটের পরে কলকাতা পুরনিগমের ভোট করানোর সওয়াল করেছেন। তবে দেশের শীর্ষ আদালত শেষপর্যন্ত এই যুক্তি মেনে নেবে কি না সেটাই দেখার। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরভোট করাতে না পারলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। এই সিদ্ধান্ত শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেলে নতুন করে অস্বস্তির মুখে পড়তে পারে শাসকদল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন