পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আগেই বদলি প্রক্রিয়া শুরু করেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। সোমবার ১৯০ জন বাংলা বিষয়ের শিক্ষককে বদলি করল মাদ্রাসা সার্ভিস কশিমন। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ওই শিক্ষকদের এই বদলি করা হয়েছে বলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। সোমবার ছিল বদলির প্রক্রিয়ায় থাকা শিক্ষকদের কাউন্সেলিং। কিন্তু কাউন্সেলিং শুরুতেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ট্রান্সফার প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের অভিযোগ, ট্রান্সফারের যে ভ্যাকেন্সি দেওয়া হয়েছে, তাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার দু’টি মাদ্রাসার নাম দেওয়া রয়েছে। ৮৮১ সিরিয়াল নম্বরে খণ্ডঘোষের গয়েসপুর এসএএইচ গালর্স মাদ্রাসা এবং ৮৮২ নম্বরে বর্ধমান হাই মাদ্রাসা। কাউন্সেলিং করার সময় বদলি শিক্ষককে কমিশন জানিয়েছে, এই মাদ্রাসায় দেওয়া যাবে না। কারণ ওই মাদ্রাসা নিয়ে মামলা চলছে। কিন্তু ওই বর্ধমান হাই মাদ্রাসা কমিশনের সেক্রেটারিকে জানায়, এই মাদ্রাসায় শিক্ষক দেওয়া হোক। বর্ধমান হাই মাদ্রাসায় বাংলা শিক্ষক পদের কোনও ‘কোর্ট কেস’ নেই। কমিশনের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ে শিক্ষকদের ইচ্ছাকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কমিশনকে ই-মেলের মাধ্যমে জানিয়েছে, এই মাদ্রাসায় কোনও ‘কোর্ট কেস’ নেই। আমরা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিতে চাই। মাদ্রাসায় শিক্ষক বদলিতে যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার আর্জি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে এই বিষয়ে কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগের পর বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মণ্ডল জানিয়েছেন, মাদ্রাসার শিক্ষকদের বদলিতে তাঁদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। রাজ্য সরকারও শিক্ষকদের বাড়ি থেকে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন