পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ৪ হাজার বছরের পুরনো সিন্ধু সভ্যতায় মানুষের জীবনশৈলী নিয়ে একটি গবেষণায় উঠে এল তাদের খাদ্যাভাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণা অনুযায়ী, এই সভ্যতায় মানুষের খাদ্যতালিকায় প্রথম পছন্দ ছিল মাংস। গ্রাম হোক বা শহর খাদ্যাভাস ছিল একইরকম। গ্রামের মানুষ মহিষ, ছাগল এবং শুয়োরের মাংস খেতে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যক্ষ সূর্যনারায়ণ তাঁর গবেষণায় সিন্ধু সভ্যতায় মানুষের খাদ্যাভাস কেমন ছিল তা প্রকাশ্যে আনেন।
আর্কিওলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালের গবেষণা বলছে, ওই সময় শহরের থেকে গ্রাম বেশি ছিল। সিন্ধু সভ্যতায় আবিষ্কৃত মাটির বাসন এবং খাদ্যাভ্যাসের ধরন-ধারণ নিয়ে এই গবেষণা হয়। এছাড়া সেসময়ের ফসলের গুণাগুণ নিয়েও রিসার্চ হয়েছে।
গবেষণা অনুসারে, ওই সময় গ্রামে গরু-মহিষ প্রধান গবাদি পশু ছিল কারণ সিন্ধুতে পাওয়া হাড় ৫০-৬০ শতাংশই গরু-মহিষের। মাত্র ১০ শতাংশই ছাগলের। এই দেহাংশের হাড়-গোড় এটাও প্রমাণ করে সেসময় মানুষ বীফ এবং মটন খাদ্য তালিকায় রাখত। দুধের জন্যও মহিষ লালন পালন করা হত। চাষাবাদের জন্য ষাঁড়ের ব্যবহারের প্রচলন ছিল।
এই গবেষণা বেশিরভাগটাই হরিয়াণার সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার ক্ষেত্র রাূিগঢ়ীতে (হিসার) করা হয়। এছাড়া লোহারি রাধো (হিসার,মসুদপুর (হিসার) এবং আলমগীড়পুর (মেরঠ,উত্তরপ্রদেশে) থেকে আবিষ্কার হয়েছে মাটির পাত্র। এই পাত্রের নমুনা পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, এই সব পাত্রতে বেশিরভাগই মাংস তৈরির জন্য ব্যাবহার করা হত। এই সভ্যতায় গম, চাল,আঙুর,শশা,বেগুন,হলুদ,তিন এবং পাটের ফলন করা হত।
প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে সিন্ধু সভ্যতার বিস্তার আধুনিক পাকিস্তান,,উত্তর-পশ্চিম ভারত,দক্ষিণ ভারত এবং আফগানিস্তানের কিছু এলাকায় মধ্যে আবদ্ধ ছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন