পুবের কলম প্রতিবেদকঃএখনও নির্বাচন কমিশন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না করলেও ভোটযুদ্ধের আবহে ঢুকেই পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলের কাজের ১০ বছরের খতিয়ান প্রকাশ করল তৃণমূল। আর তাতে জনগণের কল্যাণকামী যে কাজকর্ম, গত দশ বছরে করা হয়েছে তাই তুলে ধরা হয়। আর এসব দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছে আসন্ন বিধানসবার নির্বাচনে উন্নয়নকে সামনে রেখেই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দিয়ে গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন ‘বঙ্গধ্বনি’ যাত্রা নিয়ে। তৃণমূলের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জনসংযোগ কর্মসূচি, যার সূচনা কয়েকদিন আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সভা থেকে ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ বছরের মধ্যে ৮ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। করোনার জন্য এক বছর, উপ-নির্বাচনের জন্য বাকি ১ বছর কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাও সরকার সমস্ত রকম ভাবে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে। আর সেই কাজের খতিয়ান নিয়েই মানুষের দোরগোড়ায় এবার পৌঁছবে তৃণমূল কংগ্রেস।’ পার্থবাবু বলেন, এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ৯৫০টি প্রতিনিধি দল প্রায় আড়াই লক্ষ কিমি অঞ্চল ঘুরে মমতা সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন।
এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়,ফিরহাদ হাকিম,চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়,ইন্দ্রনীল সেন এবং উপস্থিত ছিলেন দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকেও তুলে ধরা হয়। এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে কথা বলেন দলের নেতারা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের ১১টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা দিতে সাধারণ মানুষের বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে সরকার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন