নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি: ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে নির্বোধ বলে কটাক্ষ। যার জেরে চাকরি খোয়াতে হলো গো এয়ারের সিনিয়র পাইলটকে।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি? গত বৃহস্পতিবার মিকি মালিক নামে ওই পাইলট একটি ট্যুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী নির্বোধ। পাল্টা আমাকেও মূর্খ বলতে পারেন আপনারা। সমস্যা নেই। কারণ আমি তো প্রধানমন্ত্রী নই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্বোধ।" ওই পোস্টটি কে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ট্যুইট টি ডিলিট করে দেন তিনি। শুধু তাই নয়। ক্ষমা চেয়ে আরও একটি ট্যুইট করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমার টুইটে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার ট্যুইট এর সঙ্গে গো এয়ারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারও যোগাযোগ নেই।"
সংস্থার হয়ে সাফাই গাইলেও বরফ গলেনি। ট্যুইট বিতর্কে তিনদিনের মধ্যেই পাইলটকে বহিস্কার করে গো এয়ার। সংস্থার মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, "এই ধরনের বিষয়ে গো এয়ার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। সংস্থার সব কর্মী যাবতীয় আইন, সোশ্যাল মিডিয়ার আচরনবিধি সংস্থার নীতি মেনে চলতে বাধ্য। এরপরও যদি কোন কর্মচারী ব্যক্তিগত মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন, তবে তার দায় সংস্থার না।"
তবে এই প্রথম নয়। গত বছর জুনে এক প্রশিক্ষণরত পাইলট কে বহিষ্কার করে গো এয়ার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সীতা ও হিন্দুত্ব নিয়ে ট্যুইটারে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। যদিও পরে জানা যায়, ওই পাইলটের নামে অন্য এক ব্যক্তি ট্যুইটটি করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন