দেবশ্রী মজুমদার, জয়দেব, ১৪ জানুয়ারি: কোভিড বিধি মেনে পূণ্য স্নান চললো জয়দেব কেন্দুলীর কদমখণ্ডীর ঘাটে। ভোর রাত থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও, স্নানের মহাপূণ্যকাল সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বেলা ১০:১৫ মিনিট পর্যন্ত। তাই এই সময় কিছুটা হলেও ভিড় ছিল। তবে, এবার এই ৮০৭ তম জয়দেব মেলায় ভিড় খুব কম। হাতে গোনা দোকান পসরা। তার মধ্যে বেশিরভাগ স্থায়ী খাবারের দোকান। সেরকম ভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দোকান চোখে পড়ে নি। দেখা গেছে ডুগডুগির মতো হাতে তৈরী করা জিনিস পত্র। এবার বাইরের কোন আখড়া ছিল না। অন্যান্য বার লক্ষ লক্ষ পূণ্য লোভাতুর মানুষের সমাগমে এই আখড়া জম জমাট থাকে। সারা রাত দিন ধুনি জ্বলে আর বাউল ও কীর্তনের আখড়ায় চলে গান বাজনা। আর এই সময় কীর্তনীয়ারা আশায় বুক বাঁধে বায়নার। এবার সেটি না হওয়ায়, তাদের মুখ ভার করে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।
৫২ টি স্থায়ী আখড়া সহ অতিরিক্ত ১০০টি আখড়া থাকার কথা ছিল । তবে, মেলার মুখে নদীর ধারে ডান দিকে স্থায়ী আখড়ার কয়েকটিকে বসতে দেখা গেছে। তা গতবারের তুলনায় খুব কম। কোন স্টল ছিল না। লোকজন আসে নি বাইরে থেকে। তবে বাইরের কিছু পর্যটক এসেছিলেন পূণ্য স্নানে। শক্তিগড় থেকে এসেছিলেন অনুপম চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রতিবার আসি। তবে কোভিডের কারণে স্নানের ঘাটে আগের বছরের মতো সেরকম ভিড় হয় নি। যেটুকু ভিড় স্নানের ঘাটে আর রাধামাধবের মন্দিরে। রাধা মাধবের মন্দিরে পূণ্যার্থীরা লাইন দিয়ে পুজো দিতে দেখা যায়। কোভিডের কথা মাথায় রেখে এবার বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেমন একটি কোয়ারিন্টিন সেন্টার ও আইসোলেসন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ছিলেন আশা কর্মীরা। মেলা ঢোকার পথে বিভিন্ন ড্রপ গেটে ছিল পর্যাপ্ত মাস্ক বিলির ব্যবস্থা। গতবারের মতো ৭০০ টয়লেট, সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যবস্থা ছিল । মহিলাদের স্নানের পর চেঞ্জ রুমের ব্যবস্থা ছিল । কোভিড সংক্রান্ত প্রচার চলে মাইকিং করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন