নয়াদিল্লি,১৪ জানুয়ারিঃ ভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখির দল প্রতি বছরই ভারতে এসে থাকে। সেই পরিযায়ী পাখিদের দেহে আগে থেকে সংক্রমণ থাকলে তা ছড়িয়ে পড়ে এ দেশেও। এভাবেই এক পাখি থেকে অপর পাখির দেহে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হঠাৎ করে বার্ড ফ্ল$ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পশুপালন, দু? এবং মৎস্যবিভাগের সেক্রেটারি অতুল চতুর্বেদি অভয় দিয়েছেন। বলে,‘সাধারণত শীতে এর প্রকোপ দেখা দেয়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত যা চলতে থাকে। অবশ্য এর জন্য অযথা আতঙ্ক সৃষ্টির দরকার নেই, ভারতে এই ফ্লু সাধারণ ঘটনা। কোনও বছর পাখিদের মৃত্যু হার বাড়ে,কখনও বা কমে। প্রতি বছরই ভারতে এই রোগ দেখা দেয় এবং প্রকোপ শেষ হলে দেশকে বার্ড ফ্লু ফ্রি বলে ঘোষণা করা হয়।’ তাঁর কথায়,‘বিগত ১৫ বছরে ভারতের ইতিহাসে বার্ড ফ্লু-র এমন কোনও ঘটনা নেই যেখানে মানবদেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের খবর নেই বললেই চলে।’ তাহলে বার্ড ফ্লু থেকে আমাদের কতটা সতর্ক থাকতে বলছেন এই প্রশাসনিক আধিকারিক? চতুর্বেদির মতে,অন্যান্য রাজ্য থেকে পোল্ট্রি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ,সংক্রমিত পোল্ট্রিকে আগেই আলাদা করা হয়েছে। বলছেন,‘ভালো করে রান্না করলে পোল্ট্রি প্রোডাক্টস খেতে কোনও মানা নেই।’
এ দিকে,দেশের ১০ রাজ্যে সংক্রমণের খবর প্রকাশের পর থেকেই পোল্ট্রি পণ্যের বাজারদর হুড়মুড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ফলে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বুধবার থেকেই ব্রয়লার মুরগির উৎপাদিত মূল্য রাজ্য বিশেষে নিম্নমুখী। মহারাষ্ট্রে উৎপাদিত মুরগির দাম কেজি প্রতি ৮২ থেকে ৫৮ হয়েছে, গুজরাতে ৯৪ টাকা থেকে দাম কমে হয়েছে ৬৫ এবং তামিলনাডুতে দাম ৮০ থেকে ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা হয়েছে। মুরগির ডিমের দামেও হঠাৎ পতন দেখা গিয়েছে। তামিলনাডুতে একটি মুরগির ডিমের দাম বর্তমানে ৪ টাকা ২০ পয়সা যা আগে ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সার মতো। হরিয়ানা ও পুণেতেও ডিম প্রতি ১ টাকা করে দাম কমেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের বুকে প্রত্যেক দিন ১ কোটি ৩০ লক্ষ মুরগি এবং ২০ কোটি ডিম বিক্রি হয়। শীতের মরশুমে ডিম-মুরগির চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। তবে বার্ড ফ্লু আতঙ্কের জন্য বিগত ৪-৫ দিনে মুরগি-ডিমের ক্রেতা কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এমনই জানাচ্ছেন, সুগুনা ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান বি সৌন্দ্যরাজন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন