দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট, ১০ জানুয়ারি: বিরোধীদের সাথে আলোচনা করে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রকল্প করতে হবে? সাংবাদিক বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করলেন অনুব্রত। বিরোধীরা আখচার অভিযোগ করে শাসকদলের বিরুদ্ধে। রবিবার প্রতিবেদক সেই বিষয়ে প্রশ্ন করলে, উল্টে বিরোধীদের উদ্যেশে এই প্রশ্ন রাখেন। রামপুরহাট শহর কংগ্রেস ও রামপুরহাট ব্লক এক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে রামপুরহাট কলেজ মাঠের জনসভায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্যেশে বেশ কয়েকটি বার্তা দেন। সেটা কখনও নরমে আবার কখনও গরমে। দশ বছরে দলের রন্ধ্রে ক্ষোভ দানা বাধা স্বাভাবিক। তার আঁচ যে আগে পান নি, তা নয়। সে কথা মাথায় রেখে, তিনি বলেন, যখন ডাকবেন, তখন আসবো। কিন্তু একজন ভুল করলে, সেই ভুলকে দলের সাথে মেলাবে না। ব্যক্তির ভুল, দলের সাথে জুরবেন না। অনুরোধ করছি"। তারপরই তিনি সমর্থকদের উদ্যেশে বলেন, বলতে পারবেন আশীষ বন্দোপাধ্যায় কোন কাজ করেন নি? যদি একজনও পারেন, কথা দিলাম, দিদিকে সে কথা জানাবো। কিন্তু পারবেন না। রামপুরহাট বিধান সভায় আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় উপলক্ষ,আসল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বলে উল্লেখ করেন অনুব্রত। সমর্থকদের উদ্যেশে তিনি বলেন, ২০১০ সালে ভয় পান নি, ১৬ তে ভয় পান নি। ২১ এ ভয় পাবেন না। সেই সঙ্গে বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার করার কথা বলেন তিনি। এদিন মিম দলের সুপ্রিমো আসাউদ্দিন ওয়াইসিকে ম্যাজিসিয়ান বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, বিহারে তারা বিজেপিকে জিতিয়েছে, কিন্তু এখানে সেই ম্যাজিক দেখতে পারবে না।
বিজেপির সর্বভারতীয় দলের প্রধান নাড্ডাকে র্যালী করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অনুব্রত বলেন, বাইরে থেকে লোক আনতে হবে না। শুধুমাত্র রামপুরহাট মহকুমা থেকে ৪ লক্ষ লোকের র্যালী করে দেখাবেন তিনি। পাশাপাশি, বর্ধমানের কাটোয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান গ্রহণকে "ভণ্ডামি " ও ফুলকপি নেওয়াকে " ভেক" বলে মন্তব্য করে বলেন, দিল্লিতে ঠাণ্ডায় বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা কষ্ট পাচ্ছে, তাদের সাথে কথা বলার সময় তোমাদের নেই। এদিন উপস্থিত সমর্থকদের আস্বস্ত করে বলেন, প্রাণ থাকতে এন আর সি পশ্চিম বঙ্গে লাগু হতে দেবে না মমতা বন্দোপাধ্যায়। তারপর মমতা বন্দোপাধ্যায় না থাকলে ৬৯ টি প্রকল্পের ভবিষ্যত কি হবে সে ব্যাপারে সাবধান করেন তিনি। এদিনের সভায় অনুব্রত ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিনহা, জেলা সাধারন সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য্য, অসিত মাল, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি প্রমুখ। এদিনের জনসভায় বিজেপি ছিল মূল প্রতিপক্ষ প্রতি বক্তার বক্তব্যে। শুধু সদলবলে বিভিন্ন দল থেকে আগত ১৫১ জন নেতা কর্মী নয়, ব্যাণ্ড পার্টি ছাড়াও, ঠাসা ভিড়ে " দিদি তোমাকে চাই, জানান দিতে গায়ে দলীয় পতাকা ও শ্লোগান লেখা পেন্টিংয়ে আঁকা ট্যাটু আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন