দেবশ্রী মজুমদার,শান্তিনিকেতন,৯ ই জানুয়ারী: অনুরোধ ও আন্দোলনকে এক সাথে নিয়ে বিশ্বভারতীকে দেয় রাজ্য পূর্ত দফতরের রাস্তা ফেরতের দাবিকে জোরালো করলেন উপাচার্য।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ডিয়ার দিদি সম্বোধন করে নব বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাস্তা ফেরতের আবেদন করে চিঠি পাঠান উপাচার্য। তাতে অধ্যাপক, কর্মী ও পড়ুয়া মিলে 380 জন সই করেন। পাশাপাশি, শনিবার ছাতিম তলায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অন্যান্য অধ্যাপক, শিক্ষা কর্মীদের নিয়ে মৌন সমাবেশ করেন।
অতীতে দেখা গেছে, প্রাক্তন উপাচার্য রজত কান্ত রায় ছাতিম তলায় বসেছেন। কিন্তু একাই। এবার পূর্ব সূরীর সেই পথ অনুসরণ করলেন বর্তমান উপাচার্য। যদিও এদিনের ছাতিমতলায় হওয়া স্মারক সমাবেশ সেদিক থেকে স্বতন্ত্র । মূলত শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন রোড যেটি খুব সম্প্রতি পুনরায় রাজ্য সরকার তাঁদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে নিয়েছে। সেই রাস্তা আবারও বিশ্বভারতীর তত্ত্বাবধানে ফিরিয়ে দেওয়া হোক এই আবেদনই জানান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পাশাপাশি, বর্তমান উপাচার্য আলাদাভাবে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিঠিতে উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন ২০১৭ সালের মার্চ মাসে রাজ্য পূর্ত দফতর এই রাস্তাকে বিশ্বভারতীকে হস্তান্তর করে। যার সংস্কারের কাজ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। এই রাস্তা বিশ্বভারতীর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যক্ত করেছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ও রামকিঙ্কর বেজের ভাস্কর্য নিদর্শন আছে এই রাস্তার পাশেই। শুধু তাই নয়, আনন্দ পাঠশালা, পাঠভবনের পড়ুয়ারা এই রাস্তা ব্যবহার করে। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন ২০১২ সালে আবেদনের ভিত্তিতে তার দুই বছর বাদে রাজ্য উচ্চ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি, রাজ্য ঐতিহ্য কমিশনের চেয়ারম্যান, সর্বেক্ষণ বিভাগের ডিজি, জেলা প্রশাসন মিলে ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এই কালিসায়র মোড় থেকে ক্লাব মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি হস্তান্তরের বিষয়টি নথিভুক্ত করা হয়।
একই সঙ্গে ছাতিম তলার গেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিকরণ ও অর্থনীতি অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সাসপেনশনের প্রতিবাদে পড়ুয়ারা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। পাশাপাশি বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতিও বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বাধ্য হয়ে উপাচার্য ঘন্টা খানেক থাকার পর অন্য পথ দিয়ে বেরিয়ে যান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন