নয়াদিল্লি, ২৭ জানুয়ারিঃ কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাক স্বাধীনতার উপর আঘাত নেমে এসেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী প্রতিবাদের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এবার দেশের শীর্ষ আদালতও জানিয়ে দিল– যতই বাক স্বাধীনতার কথা বলা হোক না কেন– তা কিন্তু অবাধ নয়। একটি ওয়েবসিরিজ-মামলায় এই রায় শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
‘তাণ্ডব’ নামের একটি ওয়েবসিরিজকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ– হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। সেই অভিযোগে– তাণ্ডব-নির্মাতা– পরিচালক– প্রযোজক– অভিনেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়। গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা
কবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু– সুপ্রিম কোর্ট ওয়েব সিরিজের পরিচালক– প্রযোজক– অভিনেতা এবং আমাজন প্রাইম ইন্ডিয়া অরিজিন্যালসের প্রধান অপর্ণা পুরোহিতকে কোনওরকম সুরক্ষাকবচ দিতে রাজি হয়নি। জানা গিয়েছে– দেশের ৬ রাজ্যে ‘তাণ্ডব’ টিমের বিরুদ্ধে ও অ্যামাজন প্রাইম কর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের হয়েছে। একাধিক রাজ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের জন্য সুরক্ষাকবচ চেয়েছিলেন তাণ্ডব টিম। সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ– বিচারপতি আর এস রেড্ডি ও এম আর শাহের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে– সংবিধানে বাক
স্বাধীনতার কথা বলা থাকলেও তা মোটেই অবাধ নয়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ– ‘বাক স্বাধীনতার অধিকার অবাধ নয়। এমন কোনও চরিত্র পর্দায় তুলে ধরা যেতে পারে না– বা এমন কোনও বিষয় উপস্থাপিত করা যেতে পারে না যা কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে।এমন কিছু দেখানো যাবে না যা কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।’
উল্লেখ্য– গত ২০ জানুয়ারি বম্বে হাইকোর্ট অভিযুক্তদের তিন সপ্তাহের জন্য আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। একাধিক এফআইআরের হাত থেকে রেহাই পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় টিম-তাণ্ডব। যদিও ওয়েব সিরিজটি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই তড়িঘড়ি পরিচালক সহ গোটা ‘তাণ্ডব’ টিম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেয়। এমনকী বদলে দেওয়া হয় সিরিজের বিতর্কিত অংশও। তাতেও রক্ষা হয়নি। নোটিজেনরা এর বিরুদ্ধে নাগাড়ে বিষোদগার করে চলেছে। জানা গিয়েছে– ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ এবং ২৯৫ ধারায় তাণ্ডব নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন