ওয়াশিংটন, ৬ জানুয়ারিঃ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে এখন আনলাকি থার্টিন। আর মাত্র ১৩ দিন পর তাঁকে হোয়াইট হাউজ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নিতে হবে।
কিন্তু শেষলগ্নেও বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ছে না। তিনিও লাগাতার এমন সব কাজকর্ম করে চলেছেন যা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। জর্জিয়া প্রদেশের ভোটের ফলাফল পালটে দিতে ট্রাম্পের টেলিধমক নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পর বিষয়টির তদন্ত করতে শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে অনুরোধ জানাল বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দলের কয়েকজন সাংসদ এই মর্মে চিঠি লিখেছেন এফবিআইকে।
সংস্থার ডাইরেক্টর ক্রিস ওরেইকে তাঁরা লিখেছেন, জেনেবুঝে এতবড় অপরাধ এর আগে কোনও প্রেসিডেন্ট করেননি। আমেরিকার ইতিহাসে এহেন নজিরবিহীন লজ্জাজনক পদক্ষেপের জন্য ট্রাম্পের আইনি সাজা হওয়া উচিত। তাই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত করতে হবে এফবিআইকে। ট্রাম্পের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ২ জানুয়ারি জর্জিয়া প্রদেশের গভর্নর এবং সেক্রেটারি অব স্টেটকে ফোন করে হুমকি দেন ট্রাম্প। তাঁরা যেন ওই প্রদেশের ব্যালটগুলোকে বাইডেনের পরিবর্তে তাঁর নামে বদলে দেন। এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে দুই প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাই ‘না’ করে দিলে তাঁদেরকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে পদচু্যত করারও হুমকি-ধমকি দেন ট্রাম্প। জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেন্স পারজার এবং কয়েকদিন আগে জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্পকেও ব্যালট পেপারে জালিয়াতি করে তাঁকে জেতানোর জন্য হুমকি দেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, এই প্রদেশে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন ১১ হাজার ৭৮০ ভোটে জেতেন। ট্রাম্প দুই প্রশাসনিক কর্তাকে বলেন, ‘তার থেকে অন্তত ১টা ভোটও বেশি চাই। অপনারা ব্যবস্থা করুন। ওখানে আমিই জিতেছি। ‘না’ বললে শুনব না। আপনি মাছি মারা কেরানি নাকি। পারবেন না কেন।’ রবিবার ৩ জানুয়ারি দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট সেই দীর্ঘ টেলিকথনের অডিয়ো রেকর্ডিং ফাঁস করে দেওয়ায় বিদায়কালে মহাবিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন