মহারাষ্ট্র: ইদানীং মোদি ভজনা করতে গিয়ে বিজেপির ছোট বড় নেতারা সত্য-মিথ্যার মাঝে সূক্ষ্ণ গণ্ডিরও তোয়াক্কা করছেন না। বিকৃত করছেন ইতিহাস। এমনকী সাম্প্রতিককালের ঐতিহাসিক তথ্যও। এর ফলে বিজেপি নেতারা হাসির খোরাক হচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছে বলে মন্তব্য করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। শুক্রবার এক দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের শীর্ষ বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাতিল মন্তব্য করেছেন, '২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এ পি জে আবদুল কালামকে। তিনি এরপর বলেন, বিজেপি রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের বিরোধী নয়। বিজেপি সেই সব মুসলিমদের বিরোধী যারা সন্ত্রাসবাদীদের হয়ে স্লিপার সেলের কাজ করে। পাতিল মনে করিয়ে দেন, বহু সাধারণ মানুষকে নরেন্দ্র মোদি সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি করেছেন এ পি জে আবদুল কালামকে। তিনি এর ব্যাখ্যা করে বলেন, কালামকে তাঁর ধর্মের জন্য রাষ্ট্রপতি করেননি মোদি। তাঁকে মোদি রাষ্ট্রপতি করেছিলেন বৈজ্ঞানিক হিসেবে তাঁর অন্যান্য সাধারণ অবদানের জন্য। পাতিলের বক্তব্যে সব মহলই হতচকিত হয়ে যায়। কারণ এ পি জে কালামকে ২০০২ সালের জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেছিলেন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, কালামকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর সিদ্ধান্ত
ছিল অটলজির মাস্টারস্ট্রোক। তখন দিল্লির রাজনীতির
ধারেকাছেও ছিলেন না নরেন্দ্র মোদি। তখন মুখ্যমন্ত্রী
হয়ে গুজরাত সামলাচ্ছেন তিনি। কালামকে রাষ্ট্রপতি করার কৃতিত্ব যাঁরা মোদিকে দিতে চাইছেন তাঁরা নিজেদের হাসির
খোরাক করছেন। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের মুখপাত্র অতুল লোন্ধে পাতিলের এই ‘মশকরা’ নিয়ে ঠুকেছেন তাঁকে। তিনি বলেছেন– কালামের মতো দেশভক্তের প্রতি অসম্মান জানানোর ধৃষ্টতা যেন না করেন পাতিল। তাঁর মন্তব্য হাস্যকর। বাজপেয়ী কালামকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত করেছিলেন
এবং তখন কালামকে সমর্থন করেছিল সব রাজনৈতিক দল। ২০২০ সালের মধ্যে ভারতকে এক বিশ্বশক্তির আসনে দেখতে চেয়েছিলেন
কালাম। কালামের সেই স্বপ্ন
ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র লোন্ধে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন