নয়াদিল্লি: গণমাধ্যমের একাংশ সম্প্রতি দাবি করেছে পতঞ্জলির করোনিল ভারত সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-র কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। পরে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পতঞ্জলি উভয়েই গুজব ছড়ানোয় একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।
‘হু’-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শাখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় জানিয়ে দিয়েছে,
‘প্রথাগত পদ্ধতিতে তৈরি কোনও ওষুধ করোনা চিকিৎসার জন্য কার্যকরী
কি না, সে বিষয়ে ‘হু’ কোনও পরীক্ষা করেনি। কোনও সংস্থাকে শংসাপত্রও দেয়নি।’
গত শুক্রবার রামদেব এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের উপস্থিতিতে করোনিলের ‘বিজ্ঞানসম্মত
গবেষণাপত্র’ প্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চে ঝোলানো একটি ব্যানারে দাবি করা হয়, করোনিল ‘হু’-এর জিএমপি শংসাপত্র
পেয়েছে। একইসঙ্গে
ভারত সরকারের ‘ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া’র শংসাপত্রও পেয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
অন্যদিকে, ‘হু’র বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপি ঘনিষ্ঠ রামদেবের ‘পতঞ্জলি’র এমডি আচার্য বালকৃষ্ণ এক বার্তায় বলেন,
বিভ্রান্তি দূর করতে জানাতে চাই যে, ‘হু’র জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস) সংক্রান্ত সিওপিপি (সার্টিফিকেট অব ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্ট) শংসাপত্রটি আমরা ভারত সরকারের সংস্থা ডিসিজিআই থেকে পেয়েছি। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ‘হু’ কোনও ওষুধকে স্বীকৃতি দেয় না বা বাতিল করে না।
রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে প্রয়োজনীয় নথি জমা না দিয়ে বাজারে করোনার ওষুধ আনার চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় আয়ুষ মন্ত্রকের আপত্তিতে অবশেষে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন