উত্তরপ্রদেশ: পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে শবনম আলি। ২০০৮ সালের এই খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত।স্বাধীন ভারতে এই প্রথম মহিলা আসামীর ফাঁসি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে একটি জেলে ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে মায়ের ফাঁসি রুখতে রাষ্ট্রপতি
রামনাথ কোবিন্দের কাছে করুণ আর্জি তার ১২ বছরের ছেলে মহম্মদ তাজের।
সে রাষ্ট্রপতিতে জানিয়েছে, 'আমি
আমার মাকে খুব ভালোবাসি। মায়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রদ করে দিন 'প্রেসিডেন্ট আঙ্কেল'।
মহম্মদ তাজ চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে শ্লেটে নিজের হাতে তার বয়ান লিখে সে তার আবেদন জানিয়েছে। সেইসঙ্গে মহম্মদ তাজ
জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির ওপর তার সম্পূর্ণ আস্থা আছে।
তাজ তার পালিত বাবা–মায়ের কাছে মানুষ।
সাংবাদিক উসমান সৈফির উসমান সৈফি
জেলে গিয়ে শবনমের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্ত তথ্য সামনে তুলে ধরেন।
উসমান সৈফি জানিয়েছেন, শবনম সব সময়
তার কাছে তার ছেলের খোঁজ নেন। পড়াশোনা কেমন করছে, কবে স্কুল খুলবে, এই কথা সব সময় জানতে
চায়।
উসমান জানিয়েছেন, আমরা চাই মহম্মদ
তাজ একজন ভালো ও শিক্ষিত মানুষ হয়ে উঠুক।তার মা' যা দোষ করে থাকুক না কেন, তার বিচার আদালত করবে। কিন্তু শিশুটি তো কোনও অপরাধ
করেনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে বাবা– মা সহ নিজের পরিবার ৭ জনকে খুন করে শবনম। এর মধ্যে ছিল তার ১০
মাসের ভাইপো। অন্তঃস্বত্তা থাকাকালীন শবনমকে গ্রেফতার করা হয়। মহম্মদ তাজ তার পালিত
বাবা–মায়ের কাছে মানুষ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন