কলকাতা: শুধু কি বন্ধুত্ব, না অন্য কিছু। অন্তত ইন্ডাস্ট্রির অলিগলিতে ফিসফসানি, তাহলে কি সত্যি। দুজনের মনে্ই কি রং লেগেছে। যশ ও নুসরতকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ফটো শুটে প্রায় দেখা গেছে। তবে দুজনের মন উড়ু উড়ু, এটা মানতে হবে। ফাগুনের ছোঁয়া লেগেছে দুজনের জীবনে! কাজেই বলা যায়, 'বসন্ত এসে গেছে.....'
এরই মধ্যে যশ আবার নাকি বলছেন, 'নতুন প্রেমে
এগোতে হবে ধীর পায়ে'। অন্তত গানে গানে সেই কথাই বলছেন যশ। কার জন্য এই বিশেষ বার্তা
দিতে চাইলেন যশ। অভিনেতা ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে এমনই প্রেমের কথা ঘুম উড়িয়ে
দিয়েছে নেটিজেনদের।
কথা ও সুরের মধ্যে দিয়েই ভালোবাসা খুঁজে নিলেন যশ
দাশগুপ্ত। নুসরতের 'এসওএস কলকাতা' কো-স্টারের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে উঠে এল দুটি গানের কলি। ‘চল না আহিস্তে, ইশক নয়া হ্যায়.. পহেলা ইয়ে ওয়াদা হামনে কিয়া হ্যায়’। হ্যাঁ, মাধুরী দীক্ষিতের ‘আজা নাচলে’ ছবির ‘ওরে পিয়া’ গানটির মাধ্যমে ভালোবাসায় ধীর পায়ে এগোনোর বার্তা দিলেন যশ। প্রেম দিবসে এটাই যশের ‘মুড’।
কিন্তু এখানেই থেমে থাকলেন না যশ। বসন্ত যে তার জীবনে প্রবেশ করেছে
তা বোঝাতে কসুর করেননি তিনি। তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বার বার সেই
প্রেমের আগুনই ঝড়ে পড়ছে। তার লেখায় রয়েছে, ‘ভালোবাসা হল আগুন। কিন্তু সেই আগুন তোমার হৃদয়কে উষ্ণতা দেবে নাকি তোমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে, সেটা বোঝা দায়’।
বলাই যায় বসন্ত আসতে না আসতেই এক রোম্যান্টিক মুডে রয়েছেন যশ। বেশ
কয়েকদিন আগে বেল্লা চাও-এর ধুন গিটারে বাজাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে, আর ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনও ফের গিটার হাতে দেখা গেছে অভিনেতাকে। ক্যাপশনে যশ লিখলেন, 'দিনটা শেষ করছি একটু আশিকী দিয়ে, হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে আবারও'।
তবে নুসরত কী চুপ করে বসে থাকতে পারেন! ফুল হাতে
একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, প্রার্থনা করি আমাদের আত্মা ভালোবাসায় প্রস্ফুটিত হয়ে উঠুক সব অস্তিত্বের জন্য। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে'।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন