হোয়াইট হাউস: জো বাইডেনের সমকক্ষ হওয়ার যোগ্যতা নেই সউদি আরবের যুবরাজ বিন সালমানের। বাইডেনের সমপদস্থ হতে পারেন একমাত্র বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। সউদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের আগে এমনই জানালেন হোয়াইট হাউসের নয়া প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তিনি। জেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়– বাইডেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কখনও সউদি আরবের যুবরাজ সালমানের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান– ‘সমপদস্থের সঙ্গে সমপদস্থের কথা হবে। আমাদের প্রেসিডেন্টের সমকক্ষ হলেন বাদশাহ সালমান।’ ভবিষ্যতে সঠিক সময়েই হয়তো কখনও এই দুই রাজনেতা মুখোমুখি হবেন এবং তাঁদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন– বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারির এই বিবৃতি প্রাক্তন ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ– ট্রাম্প প্রশাসনের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন যুবরাজ বিন সালমান। সউদি যুবরাজের সঙ্গেই ট্রাম্প যাবতীয় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে চুক্তি সই করতেন– গাল্ফসহ মধ্যপ্রাচ্যে সউদি-মার্কিন জোটের মিলিত কূটনীতিও ঠিক করা হত। তবে এবার বাইডেন সেসব হিসাব-নিকাশ বদলে দিলেও দিতে পারেন। মূলত সউদি যুবরাজকে গুরুত্ব না দিয়ে বাদশাহ সালমানের সঙ্গেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রয়োজনীয় শলা-পরামর্শ করবেন। কিন্তু এর কারণ কী?
তবে কি সউদি যুবরাজের মধ্যে নেতৃত্ব প্রদানকারী গুণাবলির অভাববোধ করছে হোয়াইট হাউস? সম্প্রতি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা বিষয়ে একটি গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা যায়– খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সউদি আরব তাদের কালিমালিপ্ত ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ১৬টি সংস্থাকে ভাড়া করেছিল। এ দিকে বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই জানিয়ে রেখেছে– দ্রুত খাশোগি সম্পর্কিত গোপন তথ্য প্রকাশ করা হবে– যার মাধ্যমে সউদি সাংবাদিক খুনে জড়িত আসল ব্যক্তির নাম জেনে যাবেন সকলেই। বিশ্লেষকমহল বলছে– ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের এই এক জায়গাতেই পার্থক্য। সউদি যুবরাজ বিন সালমানের অপরাধ ঢাকার জন্য আইনের বিরুদ্ধেও চলে যেতে পারতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প– তবে বাইডেন আহনকে মান্যতা দিয়ে আসল অপরাধীদের ধরতে বদ্ধপরিকর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন