কলকাতা: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এগোতেই রাজ্যে তড়িঘড়ি আগমন তাদের। শনিবার রাজ্যে আসে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।চিৎপুর স্টেশনে নামে তারা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাদের মোতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১২৫ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। শনিবারই দুর্গাপুরে পৌঁছে যায়, দুই কোম্পানি সিআইএসএফ। তাদের পাঠানো হবে বাঁকুড়া ও বীরভূমে। মাওবাদী প্রবণ এলাকা ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় মোতায়েন করা হবে ৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হুগলি, হাওড়ায় ৪ কোম্পানি থাকবে। ব্যারাকপুর, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, চন্দননগর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ মোতায়েন থাকবে ৫ কোম্পানি বাহিনী। ৩ কোম্পানি বাহিনী থাকবে কলকাতা, বারাসত, পূ্র্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগরে। বারুইপুর, বিধাননগর, বসিরহাট, বনগাঁ, হাওড়া গ্রামীণ, রানাঘাট, জঙ্গিপুর, সুন্দরবন, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ দিনাজপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, আলিপুরদুয়ারে ২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এলাকা চিনতে ও ভোটে মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে ইতিমধ্যেই রুট মার্চ শুরু হয়েছে।
নির্বাচন দিনক্ষণ ঘোষণার দিন যতই এগোচ্ছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য–
রাজনীতি। কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমায় জখম
হন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনও বিপন্মুক্ত
নন তিনি।
রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোটাই
নির্বাচন কমিশনের কাছে একমাত্র চ্যালেঞ্জ।
গত লোকসভা ভোটে বাহিনীর সংখ্যা
ছিল ৭৫০। এবার তার থেকে বেশি সংখ্যক বাহিনী থাকবে বলে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন