নয়াদিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি: আহমদাবাদের এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করতে চায় এক মুসলিম তরুণকে। তাঁর বাবা–মা এই বিয়েতে আপত্তি জানান। তরুণীটি আহমদাবাদের করেঞ্জে পুলিশ প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। অভিভাবকদের আবেদনে তাঁকে জুনাগড়ে স্থানান্তরিত করা হয়। জুনাগড়ের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে তাঁকে ফোন করতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে একদিন করঞ্জ থানায় ডেকেও পাঠানো হয়। কিন্তু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন গুজরাত হাইকোর্টের রায়ে। তাঁর বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য জুনাগড় থেকে আহমদাবাদ পর্যন্ত পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
বিচারপতি সোনিয়া গোকানি ও সঙ্গীতাকে বিষেনের এক ডিভিশন বেঞ্চ ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৮ ফেব্রুয়ারি তরুণীর কথা শোনেন এবং তারপর রায় দেন। পুলিশের গাড়িতে এবং তারপর এই রায় দেন। পুলিশের গাড়িতে মহিলা পুলিশের ও জেলা আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষ পাহারায় ওই তরুণীকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই বেঞ্চ। মুসলিম তরুণকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করতে চায় তরুণী। এই কথা শোনার পর বিশেষ বিবাহ আইনে তাঁদের বিয়ে রেজিস্টার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এক মাস নোটিশ পিরিয়ড থাকবে। সেটা শেষ হলেই মধুরেণ সমাপয়েত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন