ইয়াঙ্গুন: কারফিউ জারি রেখেছে সামরিক জান্তা সরকার। দেশজুড়ে প্রতিবাদীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের তাক করে গুলি চালাচ্ছে বার্মিজ সেনাবাহিনী। তবে মায়ানমারে ঘটে যাওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদকে কোনওভাবেই স্তব্ধ করা সম্ভব হয়নি। উলটে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় বিশ্বের বহু দেশ চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে সামরিক-সরকারকে। এর মাঝে সোমবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটে অতি প্রয়োজনীয় ও জরুরি সেবা ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের সেনা গণতন্ত্রকে বুটের তলায় পিষে দিয়ে জাতীয় শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল। এবং তারপর থেকে এই ধর্মঘটকেই সেনা-বিরোধী সর্ববৃহৎ প্রতিবাদ হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে সরাকরি আধিকারিক– চিকিৎসক সহ বহু পেশার মানুষ কাজে ইস্তফা দিয়ে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। এই ধর্মঘটের জেরে কার্যত অচল হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। এমন অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের দমনে সেনাবাহিনী কোনও উগ্র পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই শহরে শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ বার্মিজরা।
শনিবার মান্দালয়ে সেনার গুলিতে দু’জন নিহত হওয়ার পর সামরিক জান্তা-বিরোধী বিক্ষোভ আরও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ জাতীয় নেত্রী আং সান সুকির মুক্তির দাবিতে স্লোগান অব্যাহত রেখেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন