পুবের কলম প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই পরীক্ষা এবং কলেজগুলি জীবাণুমুক্ত করা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশে লকডাউন ওঠার দশ দিনের মধ্য পুরো কলেজ জীবাণুমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, লকডাউনের শেষে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার এক মাস পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ফাইনাল সেমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত– পরীক্ষা নিয়ে শনিবার উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরিকাঠামোগত সমস্যায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই বৈঠকে ঠিক হয়– পরীক্ষা অফলাইনেই হবে। তবে যারা পারবে তারা অনলাইনে পরীক্ষা দেবে।
করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে একজনের সঙ্গে অপরজনের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পরিপ্রেক্ষিতেই কলেজ জীবাণুমুক্ত করা নিয়ে নির্দেশিকা।
বেশ কয়েকটি কলেজের বক্তব্য– পুরো কলেজ জীবাণুমুক্ত করার খরচ অনেক। কাজটি ঠিকমতো হওয়াও জরুরি। তাই যারা কাজটি করছে– যেমন--- পুরসভা– দমকল জীবাণুমুক্ত করে দিক। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন– ‘কলেজ কীভাবে কাজটি করবে তা বলার এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। কলেজগুলি উচ্চশিক্ষা বা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবাণুমুক্ত করতে আমরা কলকাতা পুরসভার সাহায্য নেব।’ দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন– করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে খুব শীঘ্রই কলেজগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হবে। পড়ুয়া– শিক্ষক সবার ক্ষেত্রেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কলেজে ঢোকার আগে হাত ধোওয়া– হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা এবং থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন