ঝাড়খণ্ড, ৩ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায় একটি মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার মাকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার চিতার আগুনেই মুরগীর মাংস রোস্ট করে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এই নির্মম ঘটনাটি যখন ঘটে তখন প্রধান সোয় নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে আসেন। মদ্যপ হয়ে দেরিতে বাড়ি আসার জন্য তার মা সুমি সোয়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর রাগের মাথায় হাতে একটি কাঠের পাটা হাতে তুলে নেয় প্রধান সোয়। তা দিয়েই আঘাত করে সুমি সোয়কে। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। গোটা ঘটনা পুলিশের কাছ থেকে গোপন করতে দ্রুত বাড়ির উঠোনেই মায়ের চিতা সাজিয়ে ফেলে প্রধান। অভিযোগ, এরপর মায়ের চিতাতেই মুরগীর মাংস রোস্ট করে খায় সে। এমনকি পরের দিন সকালে প্রধান ঘটনার ধামাচাপা দিতেই একটি স্টোভের উপরে সুমির অর্ধ-দগ্ধ দেহ জ্বালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সেইসময় তার বোনের হাতে ধরা পড়ে। তিনি ছুটে গিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে খবর দেন। তারপরে প্রতিবেশীরা অভিযুক্তকে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। মনোহরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বিমলেশ ত্রিপাঠি বলেন "নেশাগ্রস্ত হয়েই মাকে খুন করেছে ছেলে। তবে প্রতিবেশীরা দাবি করেন, চিতায় মাংস রোস্ট করেছিল অভিযুক্ত। যদিও তার সত্যতা যাচাই করার জন্য অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা ঠিক কখন কীভাবে ঘটল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশ আরও জানিয়েছে যে প্রধান তার বাবা গোপাল সোয়কেও ৪ বছর আগে খুন করেছিলেন এবং জেলেও ছিলেন। জামিনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুরো মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন