পুবের কলম, কলকাতা: অবশেষে আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে্ও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছুটি দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেছেন।
তবে সাতদিন পরে মেডিক্যাল টিম তাকে আবার পরীক্ষা করবে। বাড়িতে থাকলেও কয়েকটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বুধবার থেকে এসএসকেএম–এ চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসায় ছিল ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ছিলেন অর্থোপেডিকের বিভাগীয় প্রধান মুকুল বিশ্বাস, নিউরোসা সার্জারি বিভাগীয় প্রধান শুভাশিস ঘোষ , কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান শঙ্করচন্দ্র মণ্ডল, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজির প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালি, সার্জারি দীপেন্দ্র সরকার, নিউরো মেডিসিনের বিমানকান্তি রায়। চিকিৎসকেরা এদিন জানান, আরও ৪৮ ঘন্টা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তাঁকে ছাড়তে হল।'
মুখ্যমন্ত্রীকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের প্লাস্টার খুলে এদিন তাঁর চোটের জায়গা ফের পরীক্ষা করেছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। তাতে দেখা গিয়েছে তাঁর পায়ে যে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল তা লক্ষ্যণীয় ভাবে কমেছে। গোড়ালির আঘাতও অনেকটাই কমেছে। তবে চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন আরও ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে বার বার বাড়ি ফেরার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাই নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ মেনে তাঁকে থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে। সাত দিন পর ফের মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে এসে আঘাতের জায়গা পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে।’
তবে বাড়িতে ফিরলেও মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁকে হুইলচেয়ার কিংবা ক্রাচ নিয়ে ঘোরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলের জন্য যেটা চমকের তা হল– জননেত্রী তাঁর ট্রেডমার্ক হাওয়াই চটি এখন পরতে পারবেন না। তিনি চটিই পরবেন– তবে তা একটু অন্য ধরনের হবে। এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকদের প্যানেল মমতাকে। কীভাবে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হবে– তা ভালোভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং দেহরক্ষীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে– যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁ পায়ে কোনওভাবে চাপ না পড়ে বা নতুন করে আঘাত না লাগে।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন