ভূপাল: জ্ঞানের কোনও ধর্মীয় গণ্ডি হয় না। যেকোনও বই থেকে জ্ঞান আহরণ করার অধিকার সব মানুষেরই রয়েছে। তা সাহিত্য হোক বা ধর্মীয় গ্রন্থ। ফের এমন কথাই যেন প্রমাণ করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার এক ছোট্ট মেয়ে মুশারিফ খান। আর একইসঙ্গে সে বার্তা দিল, মন থেকে কিছু করতে চাইলে সেই কাজে সাফল্য আসবেই। দেশজুড়ে এখন যাঁরা কট্টর হিন্দুত্ববাদের আস্ফালন করে চলেছে, তাদের মধ্যে কতজনই বা পারবে গীতার পাঁচটি শ্লোক মুখস্থ বলতে? তাদেরকে হেলায় হার মানিয়ে দেবে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ১২ বছরের মুশারিফ। গীতার ৫০০ শ্লোক তাঁর ঠোঁটের আগায়। কেবল গড় গড় করে গীতার সংস্কৃত শ্লোক আউড়ে যাওয়া নয়, প্রতিটি শ্লোকের অর্থও ভালো করে আত্মস্থ করে ফেলেছে ওই বিস্ময় বালিকা। তার এই গুণে সকলেই একেবারে তাজ্জব।
মুশারিফের স্কুলের শিক্ষিকা রোহিণী মেন জানাচ্ছেন, মেমোরি রিটেনশন কোর্স বা স্মৃতি ধারণের কৌশল শিখতে তিনি ছোট্ট ছাত্রীটিকে তিনটি বিকল্প দিয়েছিলেন। মুশারিফ অনুশীলনের জন্য বেছে নেয় ভগবদগীতা। সেটা তিন বছর আগের কথা। তখন সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। তার মতো অনেক ছত্রীই ভগবদ্গীতাকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য ছাত্রীর অনেকটাই পিছনে ফেলে মুশারিফ গীতার ৭০০টি শ্লোকের মধ্যে ৫০০টি শ্লোক কণ্ঠস্থ করে ফেলেছে। মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে গীতাকে বেছে নেওয়ার জন্য প্রথম দিকে স্কুলের শিক্ষিকারা খানিকটা অবাক হয়েছিলেন।
কিন্তু মুশারিফ জানায়, আমার মা সব সময় বলেন, আমরা বাড়ির বাইরে একজন মানুষ মাত্র। তিনি নিজেই আমাকে ভগবদগীতা পড়ার অনুমতি দেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন– আমি কুরআন শরীফ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধর্মের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করি। কেবল গীতার শ্লোক নয়– কুরআনের বহু আয়াতও মুখস্থ ১২ বছরের মুশারিরফের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন