পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘রত্না’ অস্ত্রেই এবার শোভন-বধ করতে চায় তৃণমূল। যদিও বিজেপির তরফ থেকে নিশ্চিত নয় বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে আদৌ দাঁড়াবেন কি না, দীর্ঘদিনের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনও শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার প্রার্থী হতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, বেহালা পূর্ব অথবা পশ্চিম শোভন চট্টোপাধ্যায় যেখানেই প্রার্থী হন না কেন, কার ছেড়ে আসা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন শোভন জায়া রত্না চট্টোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেননি। এ বিষয়ে রত্নাকে মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবার থেকেই ধাপে ধাপে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। সেই তালিকায় রত্নার নাম থাকবে বলে দলের তরফে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজেপি যদি শোভনকে তাঁর পুরানো কেন্দ্রে প্রার্থী করে, তা হলে স্বামী-স্ত্রী’র সরাসরি লড়াই দেখবে বাংলা।
২০১৯ সালের ১৪ অগস্ট শোভন ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। ওইদিনই বেহালার এক দলীয় অনুষ্ঠানে এসে রত্নাকেই স্বামীর ছেড়ে যাওয়া দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন মমতা। এরপরও অনেক উলটো স্রোত দেখা যায়। ওই বছরই ভাইফোঁটার দিন আবার শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ফোঁটা নিতে গেলে সমীকরণে বদল ঘটে। সেই সময় তৃণমূলের অন্দরেই গুঞ্জন উঠেছিল শোভনের ‘ঘর ওয়াপসি’ কেবল সময়ের অপেক্ষা।
সেসময় এমনটাও শোনা যায়, শোভন-বৈশাখীরা নাকি শর্ত দিয়েছিল, রত্নাকে যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তখন বেহালা পূর্বের ‘কো-অর্ডিনেটর’-এর দায়িত্ব দিয়েও সরিয়ে দেওয়া হয় রত্নাকে। তবে আগাগোড়াই কলকাতার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে শোভনের অনুপস্থিতিতে রত্নাকে ওই এলাকার পুর পরিষেবার দায়িত্ব সামলেছেন। একইসঙ্গে করোনাকালে রত্নাকে আবার ‘কো-অর্ডিনেটর’ নিয়োগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
শোভনের অনুপস্থিতিতে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বেহালা পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কয়েকজন মেয়র পারিষদ এমনকী এক অভিনেতাও। কিন্তু কালীঘাট সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই একনিষ্ঠ সহকর্মীটির পাশে থাকতে চাইছেন। শোভনের আসনে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হবে বলে মনস্থির করে ফেলেছে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব।
এ দিকে বেহালা পশ্চিমে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হন, তাহলে সেখানেও প্রচারে থাকবেন রত্না চট্টোপাধ্যায় বলে জানা যাচ্ছে। মূলত রত্নাকে চট্টোপাধ্যায়ই হতে চলেছে এবার শোভনের জন্য তৃণমূলের শক্তিশেল। এখন দেখার সেই শক্তিশেল কতটা কাজে আসে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন