পুবের কলম, বাঁকুড়া: হুইলচেয়ার থেকে পর পর একের পর এক জনসভায় তোপ দাগছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ার সভা থেকে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'বহিরাগত' ইস্যুকে সামনে রেখে তোপ দাগলেন তিনি।মমতা এদিন সভা থেকে স্পষ্ট করে দেন বহিরাগত কাদের বলে।
মমতা বলেন, রাজ্যে বাইরে থেকে লোক ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
জনসভা থেকে মমতা বলেন, 'অসম থেকে ১৪ লক্ষ বাঙালীর
নাম বাদ দিয়েছে বিজেপি।ভোট না দিলে এবার বাংলায় ভোটার তালিকা নাম বাদ দেওয়া ছক কষছে।মমতা
হুঙ্কার, আমরা সবাই নাগরিক। তাই ভোট অধিকার আমাদের আছে।
সভা থেকে মমতার কটাক্ষ জগাই, মাধাই, গদাই হল মোদি,
শাহ, আদানি ভাই ভাই।
মমতা এদিন স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, অন্য রাজ্যের যে সমস্ত মানুষ বাংলায় থাকেন তারা বহিরাগত নয়। কিন্তু যারা দিল্লি থেকে এসে নির্বাচনের আগে বাঙালিদের বাংলা চেনাচ্ছেন তাঁরাই বহিরাগত। মমতা এদিন
বলেন, যাঁরা বাংলার বাসিন্দা নন তাঁরাই বহিরাগত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, যাঁরা বাংলায় থাকেন, তিনি রাজস্থানি, গুজরাটি বা যাই হোন না কেন, তাদের আমরা বহিরাগত বলি না। উত্তরপ্রদেশ থেকে যে গুন্ডাদের পাঠানো হচ্ছে গেরুয়া পোশাক পরিয়ে তাঁদের বহিরাগত।
মমতা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে সম্মান করি।
কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো মিথ্যাবাদি আমি কাউকে দেখিনি'।কী দিয়েছে বিজেপি? ১৫ লক্ষ টাকা কেউ পেয়েছেন?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কন্যাশ্রী দিয়েছি, রূপশ্রী দিয়েছি, স্বাস্থ্যসাথী দিয়েছি। কৃষকদের ওপর
অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি।তাই বলছি কে প্রার্থী দেখবেন না। ভাবুন সব কেন্দ্রে আমি প্রার্থী। জোড়া ফুলে ভোট দিন। মনে রাখবেন, তৃণমূল না জিতলে আমি সরকারটা করতে পারব না। দুয়ারে রেশন পাবেন না। বিজ্রেপি এলে ঘর বাড়ি কেড়ে নেবে। বহিরাগত গুন্ডারা এলে মা, বোনেরা হাতা, খুন্তি নিয়ে জবাব দেবেন।”
বুধবার এই জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুর, ওন্দা এবং বাঁকুড়ায় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন