আবদুল ওদুদ
শনিবার রাজ্যে অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে জঙ্গলমহলসহ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া দুই মেদিনীপুরের যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ১ এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার নির্বাচন থেকে সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলিতে এ রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। আন্তঃরাজ্য সীমানা দিয়ে অস্ত্র-শস্ত্র বা অন্য কিছু যাতে এ রাজ্যে ঢুকতে না পারে তার জন্য কমিশন বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে। শনিবারও বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং-এর মাধ্যমে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
রাজ্যের মু্খ্য সচিব ডিজি এবং পাঁচ জেলার ডিজি ও এসপিদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ভিডিওর মাধ্যমে বৈঠক করেছেন মু্খ্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। আর এই বৈঠকের পরই এ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ৫০টিরও বেশি নাকাচেকিং পয়েন্টে নজরদারি চালানো হয়েছে। অস্ত্র, অর্থ, মদ কিংবা ভিন্ন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীরা যাতে এ রাজ্যে ঢুকে নির্বাচনী বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে তার জন্য তটস্থ রয়েছে প্রশাসন। ভোটে হিংসা রুখতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বলে জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের লক্ষে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শ-কাতর বুথগুলিতে গন্ডোগোল ঠেকাতে ৫০ শতাংশ বুথে চলবে ওয়েব কাস্টিং। থাকবে সিসি টিভি এবং এলাকা ঘুরে দেবেন মাইক্রো অবজারভাররা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন