পুবের কলম, হায়দরাবাদ: বয়স মাত্র ১০ বছর। তবে তাতে বাধ সাধেনি ড্রাগমুক্ত সমাজ দেখার ইচ্ছাতে। তাই হায়দরাবাদের তানিয়া বেগম ড্রাগের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে লড়াইয়ে নেমেছেন এত অল্প বয়সেই। বিভিন্ন খবর ও ভিডিয়ো দেখে ড্রাগবিরোধী সচেতনতা জন্মেছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তানিয়ার। বহু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ড্রাগ নেন। তারা নিজেদের ক্ষতির বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করেন না। তানিয়া বিশ্বাস করে যে ড্রাগের ব্যবহার খুবই মারাত্মক ফল ডেকে আনে এবং এ নিয়ে জনসাধারণের সামনে খোলাখুলি আলোচনা করা জরুরি। সে জানাচ্ছে, বহু মানুষ যুবক বয়সেই ড্রাগ আসক্ত হয়ে উঠছে। তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এর ফলে। এইসব কুফলগুলি সবার সামনে তুলে ধরে সচেতনতা সৃষ্টি করাই তার লক্ষ্য বলে সে জানিয়েছে।
এত অল্প বয়সে তানিয়া এই মনোবল পেল কীভাবে? এ
ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা তার বাবা। তিনিও ড্রাগবিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেনে অংশগ্রহণ করেন। সেটা দেখেই ছোট্ট তানিয়ার মধ্যে এই উপলব্ধি হয়েছে। সে জানাচ্ছে প্রতি রবিবার আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ক্যাম্পেনে অংশ নিই। বুকলেট বিতরণ করি। ড্রাগের কুফল বোঝানোর চেষ্টা করি। ইতিমধ্যে আমি ৩৫ হাজার বুকলেট বিলি করেছি। সে ‘ড্রাগস ফ্রি ওয়ার্ল্ড– ইন্ডিয়া’ নামক সোসাইটিতেও যোগদান করেছে। হায়দরাবাদের প্রতিটি পানের দোকানে সে গিয়েছে ধূমপানের বিরুদ্ধে এক ক্যাম্পেনে অংশ নিয়ে। তানিয়ার বাবা সেখ সালাউদ্দিন জানাচ্ছেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গর্বিত। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাকে চিঠি লিখেছে। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছ থেকেও কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ও
চিঠি পেয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন