আসিফ রেজা আনসারী
ভোট ঠিকভাবে হচ্ছে কি না বা কোনও অবৈধ ভোটার ভোট প্রয়োগ করছে কি না– তা দেখার জন্য বড় ভূমিকা পালন করেন বুথভিত্তিক পোলিং এজেন্টরা। এটা নিশ্চিত করতে সব দল ও প্রার্থীর হয়ে এজেন্ট থাকে প্রত্যেক বুথ বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। আর এতদিন কেউ পোলিং এজেন্ট হতে হলে তাঁকে সংশ্লিষ্ট বা পার্শ্ববর্তী কোনও বুথের ভোটার হওয়া ছিল বাঞ্ছনীয়। সেই নিয়মেই বদল এনেছে নির্বাচন কমিশন। এখন থেকে বাইরের লোকজনও হতে পারবে পোলিং এজেন্ট। তবে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার হতে হবে বলে ঠিক করেছে কমিশন। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যাতে পুরনো নিয়মেই পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়, সেই দাবি জানিয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রীতিমত নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন দিয়েছে তৃণমূলের আটজন সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার বিকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনও করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল ভবনে ওই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেখানেই অভিযোগ করা হয়, পোলিং এজেন্ট হিসাবে বাইরের লোককে অনুমতি দেওয়া সংসদীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধ ও অসাংবিধানিক কাজ।
এ
দিন তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেন, বিজেপির ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন এভাবে নিয়ম বদল করেছে। এটা সংসদীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধ কাজ। কোনও নিয়মে বদল আনতে হলে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত ছিল, এক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, সব বুথে বিজেপি এজেন্ট দিতে পারবে না তাই বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এমনটা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের শাসকদলের কথা শুনছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তৃণমূল নেতা আরও বলেন,
শুধু একটি দল হিসাবে নয়– গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্থাকে মজবুত রাখা– ভোটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে তারা এজেন্ট নিয়োগ-বিধিতে বদলের বিরোধিতা করছে। ছোট ছোট অন্যান্য দলের তরফেও যাতে আপত্তি তোলা হয়, সে কথাও বলেছে তৃণমূল। কমিশন যাতে পুরনো নিয়মেই ফেরে সেই দাবিও তোলা হয়েছে। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন ও রাষ্ট্রপতির দরবার করার কথাও বলা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন