বিশেষ প্রতিবেদন: ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অপচয় অর্ধেক কমানোর উদ্দেশ্যে এক নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের সেই গবেষণা তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে বিক্রিত ৯৩০ মিলিয়ন টনেরও বেশি খাদ্য বর্জ্য পাত্রে ফেলে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউনেপ) এবং অংশীদার সংস্থা ডব্লিউআরএপি
দ্বারা উপস্থাপিত খাদ্য অপচয় সূচক রিপোর্ট ২০২১-এ প্রকাশ করা হয় যে ঘরবাড়ি, রেস্তোঁরা ও দোকানগুলোতে সমস্ত খাবারের ১৭ শতাংশ খাবার ফেলে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রসংঘ জানায়, কিছু খাদ্য খামার এবং সরবরাহ প্রক্রিয়ায়ও নষ্ট হয় অর্থাৎ, এক তৃতীয়াংশ খাবার কখনওই খাওয়া হয় না।
যদিও বেশিরভাগ
খাদ্য অপচয় ধনী দেশগুলোর একটি সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল, তবে এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, সকল দেশেই অপচয়ের মাত্রা আশ্চর্যজনকভাবে একই রকম। যদিও দরিদ্র
দেশগুলোর তথ্য খুব কমই রয়েছে।
সমীক্ষায় প্রকাশিত
হয়েছে, দরিদ্র দেশে পরিবারগুলো ফেলে দেয় ১১শতাংশ
খাদ্য। অন্যদিকে, খাদ্যসেবা এবং খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলো যথাক্রমে
৫ শতাংশ এবং ২শতাংশ খাদ্য অপচয় করে।
এর পরিবেশগত সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। প্রতিবেদনে
বলা হয়, বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ৮-১০শতাংশ অনিঃশেষিত
খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
২০১৯ সালে– প্রায় ৬৯ কোটি মানুষ খাদ্যাভাবে ছিল এবং তিনশো
কোটি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য যোগাড় করতে অক্ষম ছিল।
সেই পরিস্থিতিতে
এবং কোভিড-১৯- এর সংকটে এই সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য ভোক্তাদের ঘরে খাবার নষ্ট
না করার আহ্বান জানানো হয়েছে এই গবেষণায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন