আবদুল ওদুদ
ইলিশ প্রিয় বাঙালীর জন্য সুখবর দিতে চলেছে ফরাক্কা ব্যারেজ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। এবছর বর্ষায় গঙ্গার ইলিশ পাবে বাঙালির। এতদিন সমুদ্রের ইলিশ মাছের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এবার শুধু সমুদ্র নয়, গঙ্গার ইলিশের স্বাদ পাবে রাজ্যবাসী। বহু জাতিক সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর জিওস্ট্রাকচারস ব্যবসায়ের একটি উদ্যোগের জন্য তাজা ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। লারসেন এবং টুব্রোর তৈরি করেছে এমন এক লকগেটের ফলেই বর্ষায় সহজে মিলবে গঙ্গার সুস্বাদু ইলিশ।
লারসেন এবং টুব্রোর তৈরি এই লক গেটটির জন্য জাহাজগুলির যাতায়াত মসৃণ ও দ্রুততর হবে। এর প্রকল্পের জন্য মাছগুলি বাংলাদেশের দিক থেকে সাঁতার কেটে গঙ্গা নদীতে প্রবেশ করতে পারবে। এক ফল স্বরুপ গঙ্গা যতদূর পর্যন্ত বহমান তত দূরের গঙ্গার পাড়ের ইলিশ প্রেমীরা। সুস্বাদু ইলিশে টাটকা স্বাদ নিতে পারবে।
ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ গঙ্গার জীব বৈচিত্র রক্ষার জন্য স্লাইস গেটটি প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য বর্তমানস্তরে চাইতে আরও বেশি উচ্চতায় খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই উচ্চতা বাড়ানোর জন্য ইলিশকে ডিম পাড়ার জন্য পদ্মার নোনতা জল থেকে গঙ্গার মিষ্টি জলে সাঁতার কেটে আসতে পারবে।
১৯৭৬ সালে ফারাক্কায় নেভিগেশন লক তৈরির পরে ইলিশ মাছের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে অতি সম্প্রতি ফরাক্কায় নতুন একটি নেভিগেশন লক তৈরি হয়েছে। আগামী জুন মাসে এই লক খোলা হবে। আর এর জন্যই চার দশক পরে গঙ্গায় ফের ইলিশ মাছ ডিম পাড়তে পারবে। ফারাক্কা ব্যারেজের নতুন নেভিগেশন লক তৈরির জন্য কলকাতা বন্দরও উপকৃত হবে। কলকাতা বন্দরে জাহাজগুলি দ্রুত চলাচল করতে পারবে। লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর চিফ এগজিকিউটিভ এস কানাপ্পান মনে করেন, গঙ্গা নদীতে বসবাসকারী জীব বৈচিত্রের জগতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। আমরা এটা করতে পেরে আনন্দিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন