বিশেষ প্রতিবেদক:
পবিত্র রমযান মাসে উমরাহ করা যাবে কীনা তা নিয়ে সংশয় খানিকটা দূর হয়েছে। সৌদি আরব সরকার বলেছে, যে সব উমরাহ আকাঙ্ক্ষি ও ইবাদতকারীরা কোভিড নাইটিন প্রতিরোধক ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন– শুধু তাঁদেরকেই কাবা শরীফ বা মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এছাড়া যারা করোনা মুক্ত হয়েছেন, তাঁরাও উমরাহর জন্য রমযানে মক্কায় আল্লাহর ঘরে আসতে পারবেন।
সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মসজিদুল হারাম এবং
মদিনায় মসজিদুল নববীতে রমযান মাসে প্রবেশের জন্য উমরাহর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এছাড়া ‘ভিজিট ভিসা’র ক্ষেত্রেও অনুমতিপত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে রমযান মাসে, বিশেষ করে এই পবিত্র মাসের শেষ ১০দিনে উমরাহ করলে পুণ্যার্থীরা বিশেষ সওয়াব পাবেন। তাই রমযান মাসে উমরাহ ও হারাম শরীফে ইবাদত মুসলিমদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
সারাবিশ্ব থেকে মুসলমানরা এই রমযান মাসে অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যায় উমরাহ ও হারাম শরীফে ইবাদতের জন্য মক্কায় যেতে উদগ্রিব থাকেন। কিন্তু কোভিড নাইটিন মহামারির ফলে সৌদি আরব সরকার কাবা শরীফ এবং মসজিদ উল নববীতে আসার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন।
মঙ্গলবার সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে গেল কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রমযান মাসে উমরাহ যাত্রীদের অপেক্ষাকৃত বড় সংখ্যায় ভিসা দেওয়া হবে।
আর সেজন্য প্রত্যেক আবেদনকারীর ভ্যাকসিনেসনের অবস্থান কোন পর্যায়ে রয়েছে–,তা একটি অ্যাপ ‘তাওয়াককালনা’ এবং উমরাহ অ্যাপ ‘ইটমারনা’তে নথিভুক্ত করতে হবে।
উমরাহের অনুমতির জন্য ‘তাওয়াককালনা’ এবং ‘ইটমারনা’ অ্যাপে যোগাযোগ করা ছাড়া বিকল্প কোনও উপায় নেই। কাবা চত্বর এবং এর প্রথম তলা শুধুমাত্র তাওয়াফের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে। ১৩ লক্ষেরও বেশি ইবাদতকারী মাস্ক পরিধান এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ইতিমধ্যেই উমরাহ করতে সক্ষম হয়েছেন। মসজিদ উল হারামে ৫টি জায়গাতে নামায পড়ার জন্য চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
মিশরের হজ সংক্রান্ত আধিকারিক
নোহা আসসেন বলেছেন, আশঙ্কা হচ্ছে, এবারকার রমযান মাসে সম্মিলিতভাবে ইফতার কিংবা সেহরি করলে কোভিড নাইটিন আরও সম্প্রসারিত হতে পারে। আর সেজন্যই কিছু মুসলিম রাষ্টেÉ সম্মিলিত ইফতার, সেহরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন