পুবের কলম, দোদোমা: তিনি মৃদুভাষী– নম্র ও একজন বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। হঠাৎই একটা গোটা দেশের শাসনভার এসে পড়েছে তাঁর কাঁধে। অসুস্থতার কারণে প্রেসিডেন্ট জন মাগফুলির জীবনাবসানের পর ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে তানজানিয়ার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছেন সামিয়া সুলুহু হাসান।
তানজানিয়ার ক্ষমতাসীন মধ্যবামপন্থী চামা চা মাপিনদুজি সিসিএম দলের কর্মী ছিলেন তিনি। ক্রমে নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে কাজ করে দলীয় নেতাদের নজরে আসেন এবং পদমর্যাদো বাড়তে থাকে তাঁর। শেষপর্যন্ত ২০১৫ সালে জন মাগফুলি তাঁকে রানিং মেট বানান এবং নিজের প্রথম নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন সামিয়াকে নিয়েই। সেই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে মাগফুলির দল এবং ঐতিহাসিকভাবে তানজানিয়ার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সামিয়া হাসান। বিগত অক্টোবরের নির্বাচনে অবশ্য নানান অব্যবস্থাপনার অভিযোগের মাঝে পুননির্বাচিত হয় মাগফুলিসামিয়া জুটি। এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট মাগফুলির প্রতিনিধি হয়ে অপরিচিত মুখ হয়েই বহুবার বিদেশ সফর করেছেন তিনি। কারণ তানজানিয়ার বাইরে তেমন কেউই তাঁকে চিনতেন না। তবে আজ হাতে পবিত্র কুরআন ধরা ও মাথায় স্কার্ফ পরা সামিয়ার ছবি ভেসে উঠেছে সবগুলো আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলে। বিশ্ব মানচিত্রে লুকিয়ে থাকা একটি ছোট্ট দ্বীপের মেয়ে এখন আফ্রিকার আইকন বনে গিয়েছেন। মিডিয়া তাঁকে নিয়ে মাতামাতি করলেও তিনি কিন্তু মৃদুস্বরেই ১৪ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন দেশে। এরপর বলেছেন– আমি সামিয়া হাসান সৎ ভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তানজানিয়ার সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখার কথা দিলাম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন