১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন: পুজোর পরই বিজেপির সংকল্পপত্র প্রকাশ, দায়িত্বে সুকান্ত, জোর প্রস্তুতিতে বঙ্গ বিজেপি

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 138

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বঙ্গ বিজেপি ২০২৬ বিধানসভা ভোটে আর এক বছরও বাকি নেই। তাই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই ইস্তাহার প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দল। সূত্র অনুযায়ী, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির সংকল্পপত্র প্রকাশ পাবে আসন্ন দুর্গাপুজোর পরই। এই সংকল্পপত্রের প্রচ্ছদ পরিকল্পনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, এবারের প্রচারে নেতিবাচক আক্রমণের বদলে ইতিবাচক প্রচারে জোর দেওয়া হবে। অর্থাৎ, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তারই বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা হবে বাংলার মানুষের সামনে।

ভোট প্রচার ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে গঠিত হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। দলের বিভিন্ন সেল, মোর্চা এবং জেলা নেতৃত্বকে বিশেষ দায়িত্বও অর্পণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘বঙ্গ বিজেপি তাকে চায় না’ , সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

তিন দিন আগেই রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর বক্তব্য, “বাংলার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রস্তুত।” সেই লক্ষ্যেই এখন থেকেই পুরোদমে ভোট প্রস্তুতিতে নামছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: আজ বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রাজ্যের ৯২টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি আরও ১০৮টি আসনে বিজেপি ৫ হাজার ভোটের কম ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। এই ২০০টি বিধানসভা আসনকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে দল।

আরও পড়ুন: ২৬-এর ভোটের আগে বাঙালি আবেগে জোর, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণে মমতা-অভিষেক এক মঞ্চে

এই বিধানসভাগুলিতে বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি জোরদার করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটিগুলিকে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিটি বুথে পূর্ণ শক্তির কমিটি গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রে স্থানীয় ইস্যু ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেল এবং মোর্চাগুলিকে। সেই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলিকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে—কোন পথে ভোট বৃদ্ধি সম্ভব।

দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “জেতা বুথে হারা চলবে না”। এর অর্থ, যেখানে বিজেপি শক্তিশালী—সেখানেও সংগঠন আরও মজবুত করতে হবে, যাতে ভোটে কোনও ফাঁক না থাকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন: পুজোর পরই বিজেপির সংকল্পপত্র প্রকাশ, দায়িত্বে সুকান্ত, জোর প্রস্তুতিতে বঙ্গ বিজেপি

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বঙ্গ বিজেপি ২০২৬ বিধানসভা ভোটে আর এক বছরও বাকি নেই। তাই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই ইস্তাহার প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দল। সূত্র অনুযায়ী, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির সংকল্পপত্র প্রকাশ পাবে আসন্ন দুর্গাপুজোর পরই। এই সংকল্পপত্রের প্রচ্ছদ পরিকল্পনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, এবারের প্রচারে নেতিবাচক আক্রমণের বদলে ইতিবাচক প্রচারে জোর দেওয়া হবে। অর্থাৎ, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তারই বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা হবে বাংলার মানুষের সামনে।

ভোট প্রচার ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে গঠিত হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। দলের বিভিন্ন সেল, মোর্চা এবং জেলা নেতৃত্বকে বিশেষ দায়িত্বও অর্পণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘বঙ্গ বিজেপি তাকে চায় না’ , সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

তিন দিন আগেই রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর বক্তব্য, “বাংলার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রস্তুত।” সেই লক্ষ্যেই এখন থেকেই পুরোদমে ভোট প্রস্তুতিতে নামছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: আজ বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রাজ্যের ৯২টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি আরও ১০৮টি আসনে বিজেপি ৫ হাজার ভোটের কম ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। এই ২০০টি বিধানসভা আসনকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে দল।

আরও পড়ুন: ২৬-এর ভোটের আগে বাঙালি আবেগে জোর, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণে মমতা-অভিষেক এক মঞ্চে

এই বিধানসভাগুলিতে বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি জোরদার করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটিগুলিকে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিটি বুথে পূর্ণ শক্তির কমিটি গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রে স্থানীয় ইস্যু ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেল এবং মোর্চাগুলিকে। সেই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলিকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে—কোন পথে ভোট বৃদ্ধি সম্ভব।

দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “জেতা বুথে হারা চলবে না”। এর অর্থ, যেখানে বিজেপি শক্তিশালী—সেখানেও সংগঠন আরও মজবুত করতে হবে, যাতে ভোটে কোনও ফাঁক না থাকে।