০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন উদ্ধারে বাঁধ থেকে তোলা হল ২১ লক্ষ লিটার জল! ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 22

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি! এক আধিকারিকের এক লক্ষ টাকার ফোন বাঁধের জলে পড়ে যায়। ফোন খুঁজতে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের জলের ১০ ফুট জল তিন দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে তিন দিন ধরে ২১ লক্ষ লিটার জল ছেঁচে ফেললেন এক সরকারি আধিকারিক। ছত্তিশগড়ের ঘটনা।

 

আরও পড়ুন: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ী নদীর উপর নব নির্মিত চেক ড্যায়মে অবাধে চলছে স্নান

অভিযুক্ত ওই আধিকারিকের নাম রাজেশ বিশ্বাস। ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোইলিবেড়া ব্লকের খাদ্য দফতরে কর্মরত। সেই সময় অভিযুক্ত রাজেশ বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, পাম্প লাগিয়ে জল ছেঁচে ফেলার জন্য একজন স্থানীয় সাব ডিভিশনাল আধিকারিকের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এবার ওই সাব ডিভিশনাল আধিকারিককে ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। ওই সাব ডিভিশনাল আধিকারিকের নাম আরকে ধীবর।

আরও পড়ুন: ভারত সীমান্তের কাছে বাঁধ নির্মাণ চিনের, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

গত ২৬ মে ইন্দ্রাবতী প্রজেক্টের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ধীবরকে চিঠি দিয়ে শো-কজ করা হয়। কেন ওই বিপুল পরিমাণ জল ছেঁচে নষ্ট করার খরচ তাঁর বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে না, তার স্বপক্ষে উত্তর চেয়ে পাঠান। ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রচণ্ড গরমে ওই জল চাষবাসের কাজ ছাড়াও অনেক জীবজন্তুও ওই জলাধার থেকে জল পান করত। তারপরেই বেআইনিভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে জল ছেঁচে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার জন্য ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঁধের মাটি খসে যাচ্ছে, জলোচ্ছ্বাসে যে কোন মুহূর্তে প্লাবনের আশঙ্কায় ভুগছে সন্দেশখালি 

 

প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে একদিন ছুটি কাটানোর জন্য বন্ধুদের সঙ্গে খেরকাট্টা জলাধারে গিয়েছিলেন রাজেশ। সেখানেই পড়ে যায় ফোন। ৩০ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পাম্প লাগিয়ে টানা তিন দিন ধরে ওই জলাধার থেকে ২১ লক্ষ লিটার জল ছেঁচে ফেলেন রাজেশ। জলে ভেসে যায় আশেপাশের ১ হাজার ৫০০ একর কৃষিজমি। রবিবার জলে মোবাইল পড়ে যাওয়ার পর সোমবার থেকে শুরু করে টানা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলেছিল পাম্পগুলি। খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। ততক্ষণে ২১ লক্ষ লিটার জল ছেঁচে ফেলা হয়ে গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন উদ্ধারে বাঁধ থেকে তোলা হল ২১ লক্ষ লিটার জল! ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি! এক আধিকারিকের এক লক্ষ টাকার ফোন বাঁধের জলে পড়ে যায়। ফোন খুঁজতে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের জলের ১০ ফুট জল তিন দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে তিন দিন ধরে ২১ লক্ষ লিটার জল ছেঁচে ফেললেন এক সরকারি আধিকারিক। ছত্তিশগড়ের ঘটনা।

 

আরও পড়ুন: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ী নদীর উপর নব নির্মিত চেক ড্যায়মে অবাধে চলছে স্নান

অভিযুক্ত ওই আধিকারিকের নাম রাজেশ বিশ্বাস। ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোইলিবেড়া ব্লকের খাদ্য দফতরে কর্মরত। সেই সময় অভিযুক্ত রাজেশ বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, পাম্প লাগিয়ে জল ছেঁচে ফেলার জন্য একজন স্থানীয় সাব ডিভিশনাল আধিকারিকের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এবার ওই সাব ডিভিশনাল আধিকারিককে ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। ওই সাব ডিভিশনাল আধিকারিকের নাম আরকে ধীবর।

আরও পড়ুন: ভারত সীমান্তের কাছে বাঁধ নির্মাণ চিনের, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

গত ২৬ মে ইন্দ্রাবতী প্রজেক্টের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ধীবরকে চিঠি দিয়ে শো-কজ করা হয়। কেন ওই বিপুল পরিমাণ জল ছেঁচে নষ্ট করার খরচ তাঁর বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে না, তার স্বপক্ষে উত্তর চেয়ে পাঠান। ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রচণ্ড গরমে ওই জল চাষবাসের কাজ ছাড়াও অনেক জীবজন্তুও ওই জলাধার থেকে জল পান করত। তারপরেই বেআইনিভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে জল ছেঁচে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার জন্য ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঁধের মাটি খসে যাচ্ছে, জলোচ্ছ্বাসে যে কোন মুহূর্তে প্লাবনের আশঙ্কায় ভুগছে সন্দেশখালি 

 

প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে একদিন ছুটি কাটানোর জন্য বন্ধুদের সঙ্গে খেরকাট্টা জলাধারে গিয়েছিলেন রাজেশ। সেখানেই পড়ে যায় ফোন। ৩০ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পাম্প লাগিয়ে টানা তিন দিন ধরে ওই জলাধার থেকে ২১ লক্ষ লিটার জল ছেঁচে ফেলেন রাজেশ। জলে ভেসে যায় আশেপাশের ১ হাজার ৫০০ একর কৃষিজমি। রবিবার জলে মোবাইল পড়ে যাওয়ার পর সোমবার থেকে শুরু করে টানা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলেছিল পাম্পগুলি। খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। ততক্ষণে ২১ লক্ষ লিটার জল ছেঁচে ফেলা হয়ে গেছে।