পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী
- আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 230
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এই বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন গবেষক; জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম. মার্টিনিস। তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী। স্টকহোমের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানায়, বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তির পরিমাণ নির্ধারণের আবিষ্কারেদ অসামান্য অবদানের জন্য তাঁদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ওলে এরিকসন বলেন, শতবর্ষ প্রাচীন কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনও নতুন নতুন চমক দেয়, যা আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিত্তি। কমিটির মতে, এই গবেষণা ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ও সংবেদনশীল কোয়ান্টাম সেন্সর উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
তিন বিজ্ঞানী যৌথভাবে এমন এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করেছেন, যা সুপারকন্ডাক্টর দিয়ে গঠিত; অর্থাৎ এমন উপাদান যা বিদ্যুৎ পরিবহন করে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই। এতে ব্যবহৃত হয়েছিল ‘জোসেফসন জংশন’, যেখানে দুই সুপারকন্ডাক্টরের মাঝখানে থাকে এক ক্ষীণ অ-পরিবাহী স্তর। এই সার্কিটে তাঁরা এমন এক কোয়ান্টাম অবস্থা সৃষ্টি করেন, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেও ভোল্টেজ তৈরি হয় না। কিন্তু হঠাৎই কোয়ান্টাম প্রভাবে সিস্টেমটি ‘টানেলিং’-এর মাধ্যমে শক্তির বাধা অতিক্রম করে, ফলে ভোল্টেজ দেখা দেয়।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা প্রমাণ করেন, কোয়ান্টাম প্রভাব কেবল ক্ষুদ্র কণাতেই নয়, বৃহৎ সিস্টেমেও ঘটে। এমনকি সিস্টেমটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি শোষণ বা নির্গত করতে পারে; অর্থাৎ এটি ‘কোয়ান্টাইজড’।
জন ক্লার্ক (জন্ম ১৯৪২, ব্রিটেন), মিশেল দেভরেট (জন্ম ১৯৫৩, ফ্রান্স) ও জন এম. মার্টিনিস (জন্ম ১৯৫৮, যুক্তরাষ্ট্র) বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁরা যৌথভাবে পাবেন ১.২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন) পুরস্কারমূল্য। এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। একমাত্র জন বারডিনই দু’বার এই পুরস্কার অর্জন করেছেন।





























