১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবরি ধ্বংসের ৩২ বছর, অর্থের অভাবে এখনও অযোধ্যায় নির্মাণ হয়নি বাবরি মসজিদ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
  • / 27

অযোধ্যা, ৬ ডিসেম্বর: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পেরিয়ে গিয়েছে ৩২ বছর। অযোধ্যার বাবরি মসজিদের সেই বিতর্কিত জমিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্মিত হয়েছে রাম মন্দির। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্যও জমি বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু বিশ বাঁও জলে সে মসজিদ নির্মাণ। অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রাম জন্মভূমি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্যিপুর গ্রামে নতুন মসজিদ তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ করে। এই রায়ের এত বছর পরও মসজিদের নির্মাণ কাজ একটুও এগোয়নি। এই মুহূর্তে নকশা তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ জমিতে একটি ইটও পাতা হয়নি। চার বছর আগে গড়া হয়েছিল মসজিদ ট্রাস্ট। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মসজিদের ডিজাইনও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাবরি মসজিদের জন্য বরাদ্দ পাঁচ একর জমিতে কোনও নির্মাণ হয়নি। অযোধ্যার ধন্যিপুর গ্রামে বসবাসকারী মোহাম্মদ ইসলাম খান এই বিলম্বের জন্য মসজিদ কমিটি ও সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন ক্ষ্ম মানুষ যদি মন থেকে চাইতো তাহলে মসজিদ তৈরি হতো। শুধু বড় বড় কথা বলা হয়েছিল মসজিদের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতালও তৈরি করা হবে।

অন্যদিকে মসজিদের ট্রাস্টি আতহার হোসেন বলেন, মসজিদের নতুন নকশা অনুযায়ী আমাদের আরও ফান্ড দরকার। নতুন রোডম্যাপ অনুযায়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি হাসপাতাল ও একটি বড় কমিউনিটি কিচেন তৈরি করা হবে। প্রতিটি ধর্মের মানুষ এতে খাবার খেতে পারবে। আইআইসিএফ মসজিদটিকে হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্রাস্টের চেয়ারপারসন জাফর ফারুকি মুম্বাই এবং অন্যান্য বড় শহরে দল গঠন করে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করছেন। আমরা ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট-এর সাহায্যে উপসাগরীয় দেশগুলির কাছ থেকে তহবিল চাইছি। সেখান থেকে বড় ধরনের সাহায্য পেলে মসজিদ নির্মাণের পথ খুলে যাবে। যদিও এই মুহূর্তে সেখানে একটি সাদা বোর্ড ছাড়া আরও কিছুই চোখে পড়বে না। মসজিদ নির্মাণ সংস্থা আইআইসিএফ-এর মতে, মুঘল শাসক বাবরের নামে নামকরণ করা হবে না ধন্যিপুর মসজিদ। এখন এটি নবী (সা.) পুত্রের নামে নামকরণ করা হবে।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাবরি ধ্বংসের ৩২ বছর, অর্থের অভাবে এখনও অযোধ্যায় নির্মাণ হয়নি বাবরি মসজিদ

আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

অযোধ্যা, ৬ ডিসেম্বর: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পেরিয়ে গিয়েছে ৩২ বছর। অযোধ্যার বাবরি মসজিদের সেই বিতর্কিত জমিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্মিত হয়েছে রাম মন্দির। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্যও জমি বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু বিশ বাঁও জলে সে মসজিদ নির্মাণ। অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রাম জন্মভূমি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্যিপুর গ্রামে নতুন মসজিদ তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ করে। এই রায়ের এত বছর পরও মসজিদের নির্মাণ কাজ একটুও এগোয়নি। এই মুহূর্তে নকশা তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ জমিতে একটি ইটও পাতা হয়নি। চার বছর আগে গড়া হয়েছিল মসজিদ ট্রাস্ট। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মসজিদের ডিজাইনও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাবরি মসজিদের জন্য বরাদ্দ পাঁচ একর জমিতে কোনও নির্মাণ হয়নি। অযোধ্যার ধন্যিপুর গ্রামে বসবাসকারী মোহাম্মদ ইসলাম খান এই বিলম্বের জন্য মসজিদ কমিটি ও সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন ক্ষ্ম মানুষ যদি মন থেকে চাইতো তাহলে মসজিদ তৈরি হতো। শুধু বড় বড় কথা বলা হয়েছিল মসজিদের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতালও তৈরি করা হবে।

অন্যদিকে মসজিদের ট্রাস্টি আতহার হোসেন বলেন, মসজিদের নতুন নকশা অনুযায়ী আমাদের আরও ফান্ড দরকার। নতুন রোডম্যাপ অনুযায়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি হাসপাতাল ও একটি বড় কমিউনিটি কিচেন তৈরি করা হবে। প্রতিটি ধর্মের মানুষ এতে খাবার খেতে পারবে। আইআইসিএফ মসজিদটিকে হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্রাস্টের চেয়ারপারসন জাফর ফারুকি মুম্বাই এবং অন্যান্য বড় শহরে দল গঠন করে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করছেন। আমরা ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট-এর সাহায্যে উপসাগরীয় দেশগুলির কাছ থেকে তহবিল চাইছি। সেখান থেকে বড় ধরনের সাহায্য পেলে মসজিদ নির্মাণের পথ খুলে যাবে। যদিও এই মুহূর্তে সেখানে একটি সাদা বোর্ড ছাড়া আরও কিছুই চোখে পড়বে না। মসজিদ নির্মাণ সংস্থা আইআইসিএফ-এর মতে, মুঘল শাসক বাবরের নামে নামকরণ করা হবে না ধন্যিপুর মসজিদ। এখন এটি নবী (সা.) পুত্রের নামে নামকরণ করা হবে।