২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বিশ্বের ৩৪ কোটি মানুষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ৩৪ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ তীব্র  খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। খাদ্য ঘাটতিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে মহামারি, যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন। সংস্থাটির  পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব  কারণে ২০১৯ সাল থেকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণেরও  বেশি বেড়েছে।

 

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেচার জানান, মহামারির আগে বিশ্বব্যাপী ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ তীব্র  খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

 

আরও পড়ুন: কাঁটা-চামচ নয়, হাত দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল

করিন ফ্লেচার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ১০ গুণ বেশি অভিবাসন দেখতে পাচ্ছি, যা  অবশ্যই উদ্বেগের। করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জটিল প্রভাব নিয়ে আমরা সত্যিই  চিন্তিত।’

 

ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়। এ প্রসঙ্গে ফ্লেচার বলেন, ‘ইয়েমেন নিজেদের খাদ্য চাহিদার ৯০ু আমদানি করে। কৃষ্ণ সাগর হয়ে তাদের খাদ্য চাহিদার প্রায় ৩০% আসে।’

 

১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে ডব্লিউএফপি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খরচ বেড়ে  গিয়েছে। শুধুমাত্র তহবিলের অভাবের কারণে সবার চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। প্রধান তেল রফতানিকারক দেশগুলোর  মধ্যে অন্যতম ইরাকও  খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। ইরাকের প্রায় ৫ কোটি ২০ লক্ষ টন গমের প্রয়োজন হলেও তারা  কেবল ২ কোটি ৩০ লক্ষ টন গম উৎপাদন করতে পারে। গমের বাকি চাহিদা তাই পূরণ করতে হয় আমদানির মাধ্যমেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বিশ্বের ৩৪ কোটি মানুষ

আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ৩৪ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ তীব্র  খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। খাদ্য ঘাটতিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে মহামারি, যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন। সংস্থাটির  পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব  কারণে ২০১৯ সাল থেকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণেরও  বেশি বেড়েছে।

 

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেচার জানান, মহামারির আগে বিশ্বব্যাপী ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ তীব্র  খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

 

আরও পড়ুন: কাঁটা-চামচ নয়, হাত দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল

করিন ফ্লেচার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ১০ গুণ বেশি অভিবাসন দেখতে পাচ্ছি, যা  অবশ্যই উদ্বেগের। করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জটিল প্রভাব নিয়ে আমরা সত্যিই  চিন্তিত।’

 

ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়। এ প্রসঙ্গে ফ্লেচার বলেন, ‘ইয়েমেন নিজেদের খাদ্য চাহিদার ৯০ু আমদানি করে। কৃষ্ণ সাগর হয়ে তাদের খাদ্য চাহিদার প্রায় ৩০% আসে।’

 

১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে ডব্লিউএফপি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খরচ বেড়ে  গিয়েছে। শুধুমাত্র তহবিলের অভাবের কারণে সবার চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। প্রধান তেল রফতানিকারক দেশগুলোর  মধ্যে অন্যতম ইরাকও  খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। ইরাকের প্রায় ৫ কোটি ২০ লক্ষ টন গমের প্রয়োজন হলেও তারা  কেবল ২ কোটি ৩০ লক্ষ টন গম উৎপাদন করতে পারে। গমের বাকি চাহিদা তাই পূরণ করতে হয় আমদানির মাধ্যমেই।