১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় ৪০ শতাংশ শিক্ষক শূন্য, এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল না পিএসসি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক; রাজ্যের সরকারি স্কুল ও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে রয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় এখনও ৫০ শতাংশের কম শিক্ষক-শূন্য রয়েছে। সেই শূন্য আসন পূরণে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে লিখিতভাবে জানাল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। ইতিমধ্যে পিএসসিকে শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগে রিকিউজিশন পাঠিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকরণ।

আরও পড়ুন: পিএসসি’র অডিটের নিয়োগ তালিকায় মুসলিম ২৭

রাজ্য সরকার ১২টি ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা চালু করেছে। ওই মাদ্রাসাগুলিতে ১২০টি শূন্যপদের মধ্যে ৫৭ জনকে নিযুক্ত করেছে পিএসসি। এর মধ্যে ১৯ জন মুসলিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ

 

আরও পড়ুন: রাজ্য না পারলে আদালতই পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে: প্রধান বিচারপতি

পুজোর ছুটির আগে পিএসসি জানিয়েছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘খুললেই ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় বাকি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হবে। এই নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের কাছে রিকিউজিশন চাওয়া হয়। ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় যে ৫৭ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, এর মধ্যে ভূগোল বিষয়ে নিয়োগ করা হয়েছে ১২ জন।

 

ইংরেজিতে নিয়োগ হয়েছেন ১২ জন, এর মধ্যে ৪ জন মুসলিম। গণিতে ১২ জন নিয়োগ হয়েছেন, ৫ জন মুসলিম। বাংলা বিষয়ে ১ জন নিয়োগ হয়েছেন। একজনই মুসলিম। আরবিতে ১২টি মাদ্রাসায় নিয়োগ হয়েছেন এক জন। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি হয়। জানা গিয়েছিল, উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি। আরবি বিষয়ে ১২টি পোস্টের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু একজন মাত্র সিলেক্ট হয়েছিলেন বলে দাবি মাoাসা শিক্ষা দফতরের।

এ দিকে পিএসসি জানিয়েছে, বাকি বিষয়গুলিতে নিয়োগের জন্য রিকিউজিশন তালিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেই তালিকা অনুসারেই নিয়োগ হবে। তবে বাংলা এবং ইতিহাস বিষয়ের তালিকা এ’নও পাঠানো হয়নি। স্বাভাবিক হলে ওই তালিকা পাঠানো হবে। তার পরই ওই মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন বলেন, ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগের শূন্যপদের রিকিউজিশন পিএসসিকে পাঠানো হয়েছে।

 

ইংরেজি মাধ্যম মাসাগুলি পুরোপুরি সরকারি। রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের মতো ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বও পিএসসিকে দেওয়া হয়।

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিও যেহেতু সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান, তাই এসসি,এসটি ওবিসি সংরক্ষণ নেই। সাধারণ নিয়মেই নিয়োগ করা হয়েচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর।

 

এ দিকে, হাইমাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় নিয়োগে মুসলিম ও অমুসলিমরা নিয়োগ পাচ্ছে। হাইমাদ্রাসায় ২৩০ জন প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অমুসলিম পেয়েছেন ১৭ জন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনগুলির বক্তব্য, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে ইসলাম সম্পর্কে জানা বাধ্যতামূলক।

 

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার এক প্রধানশিক্ষকের কথায়, অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে পঠন-পাঠন চলছে। বহু শূন্যপদ খালি। এই পদগুলিতে যাতে দ্রুত পূরণ করা যায়, তার উদ্যোগ নিতে হবে। কিছু মাদ্রাসায় প্রধানশিক্ষকদের পদও খালি রয়েছে। সেগুলি যাতে পূরণ করা যায়, তার উদ্যোগ নিতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় ৪০ শতাংশ শিক্ষক শূন্য, এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল না পিএসসি

আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক; রাজ্যের সরকারি স্কুল ও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে রয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় এখনও ৫০ শতাংশের কম শিক্ষক-শূন্য রয়েছে। সেই শূন্য আসন পূরণে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে লিখিতভাবে জানাল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। ইতিমধ্যে পিএসসিকে শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগে রিকিউজিশন পাঠিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকরণ।

আরও পড়ুন: পিএসসি’র অডিটের নিয়োগ তালিকায় মুসলিম ২৭

রাজ্য সরকার ১২টি ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা চালু করেছে। ওই মাদ্রাসাগুলিতে ১২০টি শূন্যপদের মধ্যে ৫৭ জনকে নিযুক্ত করেছে পিএসসি। এর মধ্যে ১৯ জন মুসলিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ

 

আরও পড়ুন: রাজ্য না পারলে আদালতই পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে: প্রধান বিচারপতি

পুজোর ছুটির আগে পিএসসি জানিয়েছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘খুললেই ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় বাকি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হবে। এই নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের কাছে রিকিউজিশন চাওয়া হয়। ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় যে ৫৭ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, এর মধ্যে ভূগোল বিষয়ে নিয়োগ করা হয়েছে ১২ জন।

 

ইংরেজিতে নিয়োগ হয়েছেন ১২ জন, এর মধ্যে ৪ জন মুসলিম। গণিতে ১২ জন নিয়োগ হয়েছেন, ৫ জন মুসলিম। বাংলা বিষয়ে ১ জন নিয়োগ হয়েছেন। একজনই মুসলিম। আরবিতে ১২টি মাদ্রাসায় নিয়োগ হয়েছেন এক জন। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি হয়। জানা গিয়েছিল, উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি। আরবি বিষয়ে ১২টি পোস্টের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু একজন মাত্র সিলেক্ট হয়েছিলেন বলে দাবি মাoাসা শিক্ষা দফতরের।

এ দিকে পিএসসি জানিয়েছে, বাকি বিষয়গুলিতে নিয়োগের জন্য রিকিউজিশন তালিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেই তালিকা অনুসারেই নিয়োগ হবে। তবে বাংলা এবং ইতিহাস বিষয়ের তালিকা এ’নও পাঠানো হয়নি। স্বাভাবিক হলে ওই তালিকা পাঠানো হবে। তার পরই ওই মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন বলেন, ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগের শূন্যপদের রিকিউজিশন পিএসসিকে পাঠানো হয়েছে।

 

ইংরেজি মাধ্যম মাসাগুলি পুরোপুরি সরকারি। রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের মতো ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বও পিএসসিকে দেওয়া হয়।

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাগুলিও যেহেতু সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান, তাই এসসি,এসটি ওবিসি সংরক্ষণ নেই। সাধারণ নিয়মেই নিয়োগ করা হয়েচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর।

 

এ দিকে, হাইমাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় নিয়োগে মুসলিম ও অমুসলিমরা নিয়োগ পাচ্ছে। হাইমাদ্রাসায় ২৩০ জন প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অমুসলিম পেয়েছেন ১৭ জন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনগুলির বক্তব্য, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে ইসলাম সম্পর্কে জানা বাধ্যতামূলক।

 

ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার এক প্রধানশিক্ষকের কথায়, অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে পঠন-পাঠন চলছে। বহু শূন্যপদ খালি। এই পদগুলিতে যাতে দ্রুত পূরণ করা যায়, তার উদ্যোগ নিতে হবে। কিছু মাদ্রাসায় প্রধানশিক্ষকদের পদও খালি রয়েছে। সেগুলি যাতে পূরণ করা যায়, তার উদ্যোগ নিতে হবে।