পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাজে বাজেট পেশ হওয়া সপ্তাহ ঘোরেনি। চলতি বাজেটে বিপুল কর্মসংস্থানের কথা রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়ে ছিলেন। সোমবার সেই কর্মসংস্থানের কথা ফের নিজেই জানালেন। কলকাতার ভবানীপুর মর্ডান স্কুলের নব কলেবরে উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানালেন রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ চাকরি রেডি রয়েছে। কিন্তু শকুনিরা বসে আসে উকুন বাঁচতে। কিছু হলেই হাইকোর্টে গিয়ে মামলা ঠুকছে। ফলে রাজ্য সরকার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করতে পারছে না। ভবানীপুর মর্ডান স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন দেখেছি আগে রেলে কত দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করিনি। আমি বিএসেফের দুর্নীতি জানি ও সিআইএএফ-এরও দুর্নীতি জানি। কাজেই আমাকে মুখ খোলাবেন না। মামলা করে শুভেন্দু অধিকারী উদ্দেশ্যে বলেন, ওদের ভাষা শব্দ দূষণের ভাষা এমন ভাষা প্রয়োগ করা হবে সেই সমস্ত কথাগুলো ভাষার মধ্যে পড়ে না। ভবানীপুর স্কুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি অত্যাধুনিক স্কুল তৈরি হচ্ছে। প্রাতঃ বিভাগে বাংলা এবং দিবা বিভাগে পড়ানো হবে ইংরেজি। আধুনিক লাইব্রেরি, ই-লার্নি ক্লাস, লেবরোডারি, সব কিছু থাকছে ওই স্কুলে।
মঞ্চে ভাষণ রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন ফাস্ট ইয়ারে পড়েন সেই অতীতের কথা স্মরণ করতে থাকেন। তিনি বলেন, প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত যখন কলেজে পড়ি তখন এই বিদ্যালয়ে শিক্ষাগতা করেছি। ৬০ টাকা বেতনে চাকরি করতাম। তখনকার যে সমস্ত শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীরা ছিলেন তাঁদের আজও আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। এ বিদ্যালয়টি তৈরির জন্য কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বেশ প্রসঙ্গা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুজোর সময় ববি আমাকে এই এলাকায় ঘুরে দেখাতো। ওই সময়ই ভগ্নপ্রায় মর্ডান স্কুলের দিকে আমার নজর পড়ে। তখনই ববিকে বলেছিলাম একটা ইতিহাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটার জন্য কিছু করার দরকার। ববি তৎক্ষণাৎ সেই কাজে নেমে পড়ে। চার কাঠা জমি কেনে, ৫ কোটি খরচ করে পাঁচ তারা বির্ল্ডি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩৪ বছরে বাম জামানায় ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে শেষ করে দিয়েছে। ওই ৩৪ বছরে অনেক অফিসার হয়েছে, কিন্তু তারাও ইংরেজিতে দুর্বল। তাই তাঁদের ইংরেজি প্রশক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী প্রজন্মের কাথা ভেবে এখানে বাংলা, ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই পাঠ দান করা হবে মুখ্যমন্ত্রী জানান। যত ভাষা জানবে ততই নয়া প্রজন্ম নিজেকে বিস্তার করবে।
এদিন অনুষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। চেতলায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ৮৪টি ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হয়। দমদম রোডে কাছে বাগজোলা খালের উপর একটি সেতুর উদ্বোধন করেন। ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্সের রাজারহাটে একটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাসও করেন। এখানে ১৫০ সিটের মেডিক্যাল কলেজ ও ৮০০ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরি হবে। ৫০০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে এখানে। নিউরো মেডিসিনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারি পদক্ষেপ বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। অত্যাধুনিক মানের নিউরো চিকিৎসার প্রথম শ্রেণীর হাসপাতাল হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।