০১ জানুয়ারী ২০২৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গ সহ ৩ রাজ্যের সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকা বিএসএফ-এর হাতে দেওয়া হল, প্রতিবাদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক ঘোষণায় পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও অসমের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দরা কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ১৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকা বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। একই ঘোষণা করা হয়েছে পাঞ্জাব ও অসম সম্পর্কেও।
এর আগে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিমি অভ্যন্তর পর্যন্ত বিএসএফ-এর সরাসরি নিয়ন্ত্রনে থাকত। বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকা একধাপে আরও ৩৫কিমি বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর ফলে সীমান্ত থেকে ৫০কিমি এলাকা বিএসএফ ইচ্ছে মত গ্রেফতারি, যেকোনো জিনিস বাজেয়াপ্ত ও তল্লাশি করতে পারবে। এছাড়া বিএসএফ-এর হাতে সীমান্ত এলাকায় যে ক্ষমতা ছিল তাও বর্ধিত করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৪১০০ কিমি দীর্ঘ সীমানা রয়েছে। বিএসএফ এই সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে। ২০৫০০০ কিমি এখন বিএসএফ-এর সরাসরি নিয়ন্ত্রনে চলে গেল। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা যেকোনো সময় সন্ধ্য কার্ফু আওতায় পড়তে পারে। এছাড়াও চাষবাস, গাবাদি পশু, ছোট ব্যবসা ও স্কুলে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অসুবিধার মধ্যে পড়বেন বলে বাসিন্দারা আশঙ্কায় রয়েছেন। কারণ অতীত অভিজ্ঞতায় সেটাই দেখা গেছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ও বিকাশমূলক কাজও বাধার সম্মুখীন হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে পাঞ্জাবের অর্ধেক এলাকা বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য তিনি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কেন্দ্রের এক তরফা এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর বিরোধী। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণা ধীন এলাকা বর্ধিত করলেও গুজরাতে কিন্তু তা কামানো হয়েছে। গুজরাতে আগে ৮০ কিমি পর্যন্ত বিএসএফ-এর আওতায় ছিল। এই ঘোষণার পর তা কমিয়ে ৫০কিমি করা হয়েছে।

সর্বধিক পাঠিত

‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চাপ, বিজেপির রাজ্যে নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমবঙ্গ সহ ৩ রাজ্যের সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকা বিএসএফ-এর হাতে দেওয়া হল, প্রতিবাদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক ঘোষণায় পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও অসমের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দরা কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ১৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকা বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। একই ঘোষণা করা হয়েছে পাঞ্জাব ও অসম সম্পর্কেও।
এর আগে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিমি অভ্যন্তর পর্যন্ত বিএসএফ-এর সরাসরি নিয়ন্ত্রনে থাকত। বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকা একধাপে আরও ৩৫কিমি বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর ফলে সীমান্ত থেকে ৫০কিমি এলাকা বিএসএফ ইচ্ছে মত গ্রেফতারি, যেকোনো জিনিস বাজেয়াপ্ত ও তল্লাশি করতে পারবে। এছাড়া বিএসএফ-এর হাতে সীমান্ত এলাকায় যে ক্ষমতা ছিল তাও বর্ধিত করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৪১০০ কিমি দীর্ঘ সীমানা রয়েছে। বিএসএফ এই সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে। ২০৫০০০ কিমি এখন বিএসএফ-এর সরাসরি নিয়ন্ত্রনে চলে গেল। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা যেকোনো সময় সন্ধ্য কার্ফু আওতায় পড়তে পারে। এছাড়াও চাষবাস, গাবাদি পশু, ছোট ব্যবসা ও স্কুলে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অসুবিধার মধ্যে পড়বেন বলে বাসিন্দারা আশঙ্কায় রয়েছেন। কারণ অতীত অভিজ্ঞতায় সেটাই দেখা গেছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ও বিকাশমূলক কাজও বাধার সম্মুখীন হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে পাঞ্জাবের অর্ধেক এলাকা বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য তিনি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কেন্দ্রের এক তরফা এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর বিরোধী। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণা ধীন এলাকা বর্ধিত করলেও গুজরাতে কিন্তু তা কামানো হয়েছে। গুজরাতে আগে ৮০ কিমি পর্যন্ত বিএসএফ-এর আওতায় ছিল। এই ঘোষণার পর তা কমিয়ে ৫০কিমি করা হয়েছে।