১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ৬০ লক্ষ মানুষ ,সতর্কতা রাষ্ট্রসংঘের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 14

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে  আফগানিস্তানের ৬০ লক্ষ মানুষ। এই সতর্কতা দিয়েছে  রাষ্ট্রসংঘ।আফগান পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য তহবিল  দিতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ  সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

মার্টিন গ্রিফিথস রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন,  ‘আফগানিস্তান মানবিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু, ক্ষুধা ও আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে।’

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

 

আরও পড়ুন: মুস্তাফাবাদ কেন্দ্রের নাম হবে শিবপুরী অথবা শিববিহার, বললেন বিস্ত

আসন্ন শীতে দেশটির মানুষ যেন বেঁচে থাকতে পারে  সেজন্য দাতাদের অবিলম্বে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল  দেওয়া উচিত।আফগানিস্তানে সংঘাত, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা  দীর্ঘদিন ধরে একটি দুঃখজনক বাস্তবতা।

 

তবে যে বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিকে এতটা সংকটময় করে তুলেছে সেটি হল বড় ধরনের উন্নয়ন সহায়তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া।

 

মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, দারিদ্র্য গভীর হচ্ছে, জনসংখ্যা এখনও বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য  বিনিয়োগের মতো কোনও বাজেট নেই।

 

এটা স্পষ্ট যে, কিছু উন্নয়ন সহায়তা পুনরায় চালু করা  দরকার। রাষ্ট্রসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানের  ৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি  মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

 

আর দেশটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০ লক্ষ  মানুষ। ১০ লক্ষেরও বেশি শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে।  মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, শীতের প্রস্তুতির জন্য জরুরিভাবে  ৬১৪ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন।

 

এই প্রস্তুতির মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র মেরামত ও আপগ্রেড করা, গরম কাপড় ও কম্বল সরবরাহের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত আরও ১৫৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

 

৭০ শতাংশেরও বেশি আফগান গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে গ্রিফিথস বলেন, যদি কৃষি এবং গবাদি পশু উৎপাদনকে সুরক্ষিত করা না যায় তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। দেশটির খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ৬০ লক্ষ মানুষ ,সতর্কতা রাষ্ট্রসংঘের

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে  আফগানিস্তানের ৬০ লক্ষ মানুষ। এই সতর্কতা দিয়েছে  রাষ্ট্রসংঘ।আফগান পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য তহবিল  দিতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ  সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

মার্টিন গ্রিফিথস রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন,  ‘আফগানিস্তান মানবিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু, ক্ষুধা ও আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে।’

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

 

আরও পড়ুন: মুস্তাফাবাদ কেন্দ্রের নাম হবে শিবপুরী অথবা শিববিহার, বললেন বিস্ত

আসন্ন শীতে দেশটির মানুষ যেন বেঁচে থাকতে পারে  সেজন্য দাতাদের অবিলম্বে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল  দেওয়া উচিত।আফগানিস্তানে সংঘাত, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা  দীর্ঘদিন ধরে একটি দুঃখজনক বাস্তবতা।

 

তবে যে বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিকে এতটা সংকটময় করে তুলেছে সেটি হল বড় ধরনের উন্নয়ন সহায়তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া।

 

মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, দারিদ্র্য গভীর হচ্ছে, জনসংখ্যা এখনও বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য  বিনিয়োগের মতো কোনও বাজেট নেই।

 

এটা স্পষ্ট যে, কিছু উন্নয়ন সহায়তা পুনরায় চালু করা  দরকার। রাষ্ট্রসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানের  ৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি  মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

 

আর দেশটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০ লক্ষ  মানুষ। ১০ লক্ষেরও বেশি শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে।  মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, শীতের প্রস্তুতির জন্য জরুরিভাবে  ৬১৪ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন।

 

এই প্রস্তুতির মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র মেরামত ও আপগ্রেড করা, গরম কাপড় ও কম্বল সরবরাহের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত আরও ১৫৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

 

৭০ শতাংশেরও বেশি আফগান গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে গ্রিফিথস বলেন, যদি কৃষি এবং গবাদি পশু উৎপাদনকে সুরক্ষিত করা না যায় তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। দেশটির খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।