১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্ণাটকে ইদ্রিসপাশা হত্যা মামলায় ৫ গোরক্ষককে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 11

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কখনও অবৈধ গরু পাচার, কখনও বা গোহত্যার নামে নির্বিচারে হত্যা অথবা গ্রেফতারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। যে রাজ্যগুলিতে বিজেপির গো-বলয়ের রাজনীতি চলে, সেখানে এই প্রবণতাও বেশি। রামানাগাড়া জেলার সাথানুর থানা এলাকায় গত ৩১ মার্চ একদল গরু-মহিষ নিয়ে যাচ্ছিলেন ইদ্রিসপাশা (৩৫)। পথে তাকে আটকে দিয়ে টাকা দাবি করে অভিযুক্ত ‘গোরক্ষক’  পুনীথ কেরেহাল্লি ও তার লোকজন। অভিযোগ, ইদ্রিসপাশা টাকা না দিতে  চাইলে তাকে গরুপাচারকারী ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। ১ এপ্রিল ইদ্রিসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ৫ এপ্রিল   পুনীথ সহ অভিযুক্ত অন্যান্যদের রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে কর্ণাটক পুলিশ।

সোমবার কর্ণাটকের কনাকাপুরার একটি আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন অভিযুক্ত ৫ জনকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আপন্না সাভাদি।

গুত্তালুর বাসিন্দা ইদ্রিসের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ  থেকে অভিযোগ করা হয়,  পুনীথ কেরেহাল্লি ও তার দলবল মিলে হত্যা  করেছে ইদ্রিসকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পলাতক পুনীথের খোঁজ  শুরু করে, শেষ পর্যন্ত রাজস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ  জানায়, পুনীথ কেরেহাল্লি ‘রাষ্ট্র রক্ষা পদ’ নামে একটি কট্টরপন্থী সংগঠনের  প্রধান। এর আগে হালাল মাংসের বিরুদ্ধে  প্রচার চালায় পুনীথ। এছাড়া কর্ণাটকে হিন্দু মন্দির সংলগ্ন মেলায় মুসলিম ব্যবসায়ীদের বয়কট করার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি ও তার সমর্থকরা। কট্টরপন্থী পুনীথ সেই বিদ্বেষ থেকেই ইদ্রিসকে হত্যা করেছিল বলে সন্দেহ করে তার পরিবার। ইদ্রিস   ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্ণাটকে ইদ্রিসপাশা হত্যা মামলায় ৫ গোরক্ষককে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ  

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কখনও অবৈধ গরু পাচার, কখনও বা গোহত্যার নামে নির্বিচারে হত্যা অথবা গ্রেফতারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। যে রাজ্যগুলিতে বিজেপির গো-বলয়ের রাজনীতি চলে, সেখানে এই প্রবণতাও বেশি। রামানাগাড়া জেলার সাথানুর থানা এলাকায় গত ৩১ মার্চ একদল গরু-মহিষ নিয়ে যাচ্ছিলেন ইদ্রিসপাশা (৩৫)। পথে তাকে আটকে দিয়ে টাকা দাবি করে অভিযুক্ত ‘গোরক্ষক’  পুনীথ কেরেহাল্লি ও তার লোকজন। অভিযোগ, ইদ্রিসপাশা টাকা না দিতে  চাইলে তাকে গরুপাচারকারী ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। ১ এপ্রিল ইদ্রিসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ৫ এপ্রিল   পুনীথ সহ অভিযুক্ত অন্যান্যদের রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে কর্ণাটক পুলিশ।

সোমবার কর্ণাটকের কনাকাপুরার একটি আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন অভিযুক্ত ৫ জনকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আপন্না সাভাদি।

গুত্তালুর বাসিন্দা ইদ্রিসের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ  থেকে অভিযোগ করা হয়,  পুনীথ কেরেহাল্লি ও তার দলবল মিলে হত্যা  করেছে ইদ্রিসকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পলাতক পুনীথের খোঁজ  শুরু করে, শেষ পর্যন্ত রাজস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ  জানায়, পুনীথ কেরেহাল্লি ‘রাষ্ট্র রক্ষা পদ’ নামে একটি কট্টরপন্থী সংগঠনের  প্রধান। এর আগে হালাল মাংসের বিরুদ্ধে  প্রচার চালায় পুনীথ। এছাড়া কর্ণাটকে হিন্দু মন্দির সংলগ্ন মেলায় মুসলিম ব্যবসায়ীদের বয়কট করার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি ও তার সমর্থকরা। কট্টরপন্থী পুনীথ সেই বিদ্বেষ থেকেই ইদ্রিসকে হত্যা করেছিল বলে সন্দেহ করে তার পরিবার। ইদ্রিস   ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।