০৮ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ৭ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ, ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমার হদিশ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 892

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির পর ভয়ংকর তথ্য সামনে এসেছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধে ৭ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমার হদিশ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষে আরও শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশাল ধ্বংসস্তূপ অপসারণের প্রক্রিয়া গুরুতর বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরাইলের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির অভাব দেখা দিয়েছে। সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া এবং নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আনতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় মিলল তৃতীয় গণকবর, উদ্ধার ৪৯টি পচাগলা মৃতদেহ

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর, সেবা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এগুলো ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করেছে। এটি গাজাকে পরিবেশগত ও কাঠামোগতভাবে বিধ্বস্ত এলাকায় পরিণত করেছে এবং মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ প্রচেষ্টা সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে।’

আরও পড়ুন: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

ইসরাইলকে ক্রসিংগুলো খুলে দেওয়ার এবং ধ্বংসস্তূপ অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে কুরআন পেয়ে ইসলাম গ্রহণ উদ্ধারকর্মীর

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজায় ৭ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ, ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমার হদিশ

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির পর ভয়ংকর তথ্য সামনে এসেছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধে ৭ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমার হদিশ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষে আরও শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশাল ধ্বংসস্তূপ অপসারণের প্রক্রিয়া গুরুতর বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরাইলের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির অভাব দেখা দিয়েছে। সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া এবং নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আনতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় মিলল তৃতীয় গণকবর, উদ্ধার ৪৯টি পচাগলা মৃতদেহ

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর, সেবা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এগুলো ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করেছে। এটি গাজাকে পরিবেশগত ও কাঠামোগতভাবে বিধ্বস্ত এলাকায় পরিণত করেছে এবং মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ প্রচেষ্টা সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে।’

আরও পড়ুন: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

ইসরাইলকে ক্রসিংগুলো খুলে দেওয়ার এবং ধ্বংসস্তূপ অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে কুরআন পেয়ে ইসলাম গ্রহণ উদ্ধারকর্মীর