লোহার ফুসফুসে ৭০ বছর, অবশেষে চলে গেলেন পল

- আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার
- / 0
ডালাস, ১৪ মার্চ: ‘দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন লাং’ নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। এই নামকরণ করা হয়েছিল তাঁর শরীরে বিশেষ কায়দায় জুড়ে দেওয়া এক লোহার চেম্বারের কারণে। সেই ধাতু আবৃত জীবন ছেড়ে ৭৮ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন পল আলেক্সান্ডার। ১৯৫২ সালে তার বয়স যখন ছয়, তখন পোলিও রোগে আক্রান্ত হন পল। আর তাতেই গলার নীচ থেকে শরীরের বাকি অংশ অবশ হয়ে যায় তার। এই কারণে নিজে থেকে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন পল। সমাধান খুঁজতে পলের জন্য একটি মেটাল সিলিন্ডার বানান চিকিৎসকরা। আর সেই সিলিন্ডারেই কেটে যায় পলের বাকি জীবন। ৬০০ পাউন্ড ওজনের আয়রন লাংয়ের ভেতরে থেকেই তিনি আইন পাশ করেন ও বই লেখেন। ’আয়রন লাং’ যন্ত্রটিকে ব্যাঙের শ্বাসগ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যেখানে গলার মাংসপেশির দ্বারা বাতাস শ্বাসনালীতে ঢোকে। তাতে রোগী একবারে মুখ ভর্তি বাতাস নিতে পারেন এবং তা ফুসফুসে পৌঁছে যায়। অস্ত্রোপচার করে সেই কৌশলেই পোলিও পলকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। পলের ভাই ফিলিপ আলেক্সান্ডার বলেছেন, ‘তিনি ছিলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো মানুষ। তার হাসি ছিল চওড়া। আর সেই হাসি সহজেই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করত।’ আয়রন লাংয়ে সর্বোচ্চ দিন বেঁচে থাকার জন্য পলের নাম রয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।