১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ভূমিহীন ৮১৩ মানুষ পেলেন জমির পাট্টা

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 287

ইনামুল হক, বসিরহাট : উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকের ভূমিহীনদের পাট্টা তুলে দিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। বাম আমল থেকে যাদের জমি ছিল না, খোলাআকাশের নিচে বাস করতেন, দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার আবেদন করেও যারা জমির পাট্টা পায়নি, এবার তারা বাসস্থানের জায়গা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।

মঙ্গলবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে ৯০০ ভূমিহীনের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। এ দিন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর হোসেন মেহেদী রহমান, অতিরিক্ত জেলাশাসক সামিউল আলম, বন ও বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ এটিএম আবদুল্লাহ রনি, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শহীদুল্লাহ গাজী প্রমুখ প্রশাসনিক কর্তারা বসিরহাট রবীন্দ্রভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সভা শোনার পর নেত্রীর নির্দেশ মতো ৮১৩ ভূমিহীনকে মঞ্চে তুলে জমির পাট্টা তুলে দেন। সঙ্গে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল-মিষ্টি। পাট্টা পেয়ে রীতিমতো খুশি তারা, বিশেষ করে সন্দেশখালির একাধিক ভূমিহীন মানুষ।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে একাধিকবার আবেদন করেও জমির স্বীকৃতি পাননি ভূমিহীনরা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে বাস করছিলেন তারা। ভূমিহীনদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের জীবনে নিরাপত্তার আলো এনে দিয়েছেন। আগামী দিনে যাতে আরও বেশি প্রান্তিক মানুষ এই সুবিধা পান, তার জন্য তারা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: মহালয়ায় সবাইককে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পের অর্থ আটকে দেওয়ায় অনেক পরিবার ঘর নির্মাণে সমস্যায় পড়েছেন। তবে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর তৈরি করছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলায় এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে-সব পরিবার টাকা পাওয়ার পরও বাড়ি তৈরি করেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচী জয়নগরে

প্রশাসনের দাবি, সরকারি অর্থ একমাত্র নির্দিষ্ট খাতেই খরচ করা যাবে। এই উদ্যোগের ফলে সীমান্ত ও সুন্দরবনের বহু প্রান্তিক মানুষ অবশেষে মাথার উপর স্থায়ী ছাদ পেয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ভূমিহীন ৮১৩ মানুষ পেলেন জমির পাট্টা

আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

ইনামুল হক, বসিরহাট : উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকের ভূমিহীনদের পাট্টা তুলে দিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। বাম আমল থেকে যাদের জমি ছিল না, খোলাআকাশের নিচে বাস করতেন, দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার আবেদন করেও যারা জমির পাট্টা পায়নি, এবার তারা বাসস্থানের জায়গা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।

মঙ্গলবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে ৯০০ ভূমিহীনের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। এ দিন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর হোসেন মেহেদী রহমান, অতিরিক্ত জেলাশাসক সামিউল আলম, বন ও বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ এটিএম আবদুল্লাহ রনি, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শহীদুল্লাহ গাজী প্রমুখ প্রশাসনিক কর্তারা বসিরহাট রবীন্দ্রভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সভা শোনার পর নেত্রীর নির্দেশ মতো ৮১৩ ভূমিহীনকে মঞ্চে তুলে জমির পাট্টা তুলে দেন। সঙ্গে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল-মিষ্টি। পাট্টা পেয়ে রীতিমতো খুশি তারা, বিশেষ করে সন্দেশখালির একাধিক ভূমিহীন মানুষ।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে একাধিকবার আবেদন করেও জমির স্বীকৃতি পাননি ভূমিহীনরা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে বাস করছিলেন তারা। ভূমিহীনদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের জীবনে নিরাপত্তার আলো এনে দিয়েছেন। আগামী দিনে যাতে আরও বেশি প্রান্তিক মানুষ এই সুবিধা পান, তার জন্য তারা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: মহালয়ায় সবাইককে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পের অর্থ আটকে দেওয়ায় অনেক পরিবার ঘর নির্মাণে সমস্যায় পড়েছেন। তবে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর তৈরি করছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলায় এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে-সব পরিবার টাকা পাওয়ার পরও বাড়ি তৈরি করেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচী জয়নগরে

প্রশাসনের দাবি, সরকারি অর্থ একমাত্র নির্দিষ্ট খাতেই খরচ করা যাবে। এই উদ্যোগের ফলে সীমান্ত ও সুন্দরবনের বহু প্রান্তিক মানুষ অবশেষে মাথার উপর স্থায়ী ছাদ পেয়েছেন।