১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমান দুর্ঘটনায় শনাক্ত ৮৭ জন, পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ৪৭ দেহ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 92

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আমদাবাদ  বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮৭ জনের দেহ এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক। গত বৃহস্পতিবার আমদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটি। বিমানের ২৪১ জন যাত্রী-সহ ২৭৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। বিমানের একটিমাত্র যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ প্রাণে বেঁচে যান।

বিমানটি বিজে মেডিক্যালের হস্টেলে ছাদে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার পরই তাতে আগুন লেগে যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিমানে থাকা ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি পুড়ে গিয়েছে। এর ফলে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণেই যাত্রীদের বাঁচানো যায়নি। ঝলসে গিয়েছে বেশির ভাগ দেহ। সে কারণে শনাক্তকরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিহতদের আত্মীয়দের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার সঙ্গে নিহতদের ডিএনএর নমুনা মিলিয়ে দেখে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

সোমবার আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার রজনীশ পটেল বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ৮৭ জন নিহতের ডিএনএর নমুনা তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে মিলেছে। ৪৭ জনের দেহ ইতিমধ্যে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের দেহ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা গুজরাতের ভারুচ, আনন্দ, জুনাগড়, ভাবনগর, বডোদরা, খেরা, মেহসানা, আরাবল্লী, অহমদাবাদ জেলার বাসিন্দা।’’

আরও পড়ুন: অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ এখনও আতঙ্কে

আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: তদন্তে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আধিকারিকরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিমান দুর্ঘটনায় শনাক্ত ৮৭ জন, পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ৪৭ দেহ

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আমদাবাদ  বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮৭ জনের দেহ এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক। গত বৃহস্পতিবার আমদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটি। বিমানের ২৪১ জন যাত্রী-সহ ২৭৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। বিমানের একটিমাত্র যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ প্রাণে বেঁচে যান।

বিমানটি বিজে মেডিক্যালের হস্টেলে ছাদে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার পরই তাতে আগুন লেগে যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিমানে থাকা ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি পুড়ে গিয়েছে। এর ফলে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণেই যাত্রীদের বাঁচানো যায়নি। ঝলসে গিয়েছে বেশির ভাগ দেহ। সে কারণে শনাক্তকরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিহতদের আত্মীয়দের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার সঙ্গে নিহতদের ডিএনএর নমুনা মিলিয়ে দেখে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

সোমবার আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার রজনীশ পটেল বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ৮৭ জন নিহতের ডিএনএর নমুনা তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে মিলেছে। ৪৭ জনের দেহ ইতিমধ্যে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের দেহ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা গুজরাতের ভারুচ, আনন্দ, জুনাগড়, ভাবনগর, বডোদরা, খেরা, মেহসানা, আরাবল্লী, অহমদাবাদ জেলার বাসিন্দা।’’

আরও পড়ুন: অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ এখনও আতঙ্কে

আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: তদন্তে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আধিকারিকরা