১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ আপের, এবার মহল্লা ক্লিনিকে দূর্নীতি অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার
  • / 14

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা পরিস্থিতি হল আম আদমি পার্টির। আবগারি দূর্নীতি মামলায় ইডির ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যে কোনও সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে আপ। ওদিকে নতুন করে দিল্লির মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে নিম্নমানের ওষুধ সাপ্লাই ও জাল টেস্ট এর অভিযোগ চাপে ফেলল আপকে। দিল্লির লেফটেনেন্ট গভর্ণর ভি কে সাক্সেনার সুপারিশে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

অভিযোগ, নিম্ন মানের ওষুধ সাপ্লাই করা হয়েছে মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে। এছাড়া ভুয়ো রোগীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে বিভিন্ন রকম টেস্ট এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, টেস্ট না করিয়েও সরকারি তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে বেসরকারি কোম্পানিকে। এরপর সেই টাকা ঘুরপথে পৌঁছে গেছে আপের নেতাদের পকেটে।

এই ঘটনা প্রথম চোখে পড়ে ভি কে সক্সেনার। তার সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। দুজনের ঝগড়া গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আর এই সংঘাত অনেক পুরোনো।

ক্ষমতায় এসে অরবিন্দই বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য মহল্লা ক্লিনিক চালু করেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনায় নতুন করে কোনও দূর্নীতি সামনে এলে মুখ পুড়বে আপের।

শুক্রবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, কয়েকজন স্বাস্থকর্মী ও চিকিৎসক মিলে জালিয়াতি করেছিল, তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনায় যদি নতুন করে কোনও দূর্নীতির অ্যাঙ্গেল খুঁজে পায় সিবিআই তবে সেটা আপের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য সুখকর হবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ আপের, এবার মহল্লা ক্লিনিকে দূর্নীতি অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা পরিস্থিতি হল আম আদমি পার্টির। আবগারি দূর্নীতি মামলায় ইডির ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যে কোনও সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে আপ। ওদিকে নতুন করে দিল্লির মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে নিম্নমানের ওষুধ সাপ্লাই ও জাল টেস্ট এর অভিযোগ চাপে ফেলল আপকে। দিল্লির লেফটেনেন্ট গভর্ণর ভি কে সাক্সেনার সুপারিশে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

অভিযোগ, নিম্ন মানের ওষুধ সাপ্লাই করা হয়েছে মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে। এছাড়া ভুয়ো রোগীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে বিভিন্ন রকম টেস্ট এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, টেস্ট না করিয়েও সরকারি তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে বেসরকারি কোম্পানিকে। এরপর সেই টাকা ঘুরপথে পৌঁছে গেছে আপের নেতাদের পকেটে।

এই ঘটনা প্রথম চোখে পড়ে ভি কে সক্সেনার। তার সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। দুজনের ঝগড়া গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আর এই সংঘাত অনেক পুরোনো।

ক্ষমতায় এসে অরবিন্দই বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য মহল্লা ক্লিনিক চালু করেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনায় নতুন করে কোনও দূর্নীতি সামনে এলে মুখ পুড়বে আপের।

শুক্রবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, কয়েকজন স্বাস্থকর্মী ও চিকিৎসক মিলে জালিয়াতি করেছিল, তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনায় যদি নতুন করে কোনও দূর্নীতির অ্যাঙ্গেল খুঁজে পায় সিবিআই তবে সেটা আপের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য সুখকর হবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।