২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হকার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে নিউমার্কেটে বন্ধের ডাক জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 21

পুবের কলম প্রতিবেদক: হকার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বুধবার বেলা তিনটে পর্যন্ত বন্ধ থাকে নিউমার্কেট এলাকা। জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের ডাকে নিউ মার্কেট চত্বরের দশটি ব্যবসায়ী সংগঠন এই বনধে অংশগ্রহণ করে। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও রাস্তা এবং ফুটপাত সহ হেরিটেজ হগ মার্কেটের আশেপাশে হকার নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এরই প্রতিবাদে বন্ধের ডাক দেয় ট্রেডার্স ফেডারেশন। এদিন তাদের মোট পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাতও করেন তাঁরা।

 

আরও পড়ুন: জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের পাল্টা বৈঠক জয়েন্ট হকার ফোরামের

এবিষয়ে কথা বলে মেয়রের ঘর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সিং জানান, মেয়রের সঙ্গে আলোচনা সার্থক হয়েছে। তাদের যা দাবি ছিল তাতে সম্মতি জানিয়েছেন মেয়র। নিয়ম অনুযায়ী দোকানের সামনে কুড়ি ফুট জায়গা ছেড়ে বসতে হবে হকারদের। এক তৃতীয়াংশ জায়গা ছাড়া বসতে পারবেন না হকাররা এটাই আমাদের দাবি ছিল যাতে সম্মতি জানিয়েছেন মেয়র। দিদি হকার সমস্যা সমাধানে প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন, মেয়রও কাজ করছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আমরা বিক্ষোভ তুলে নিচ্ছি। আর কিছুক্ষণ পর থেকেই নিউ মার্কেট খুলে যাবে।

 

এবিষয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার জানান, ট্রেডারসরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং একটা ইতিবাচক মিটিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচী ছিল তা ইতিমধ্যেই তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমার মনে হয় আলোচনার মধ্যে দিয়েই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়। তাই আলোচনার পথ সবসময় খোলা রাখা উচিত এবং আলোচনাই যেকোনো সমস্যার শেষ কথা। তিনই আরও বলেন, হকারদের কারা বসবে, কারা বসবেনা সেটা টাউন ভেন্ডিং কমিটির থেকে ঠিক করা হয়। পাশাপাশি হকারদের পরিচয়পত্র বিভিন্ন বোরো থেকে দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করেন দেবাশিষ কুমার।

 

অন্যদিকে, টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য শক্তিমান ঘোষ বলেন, হকারদের কুড়ি ফুট ছেড়ে বসতে হবে এটা কোথাও লেখা নেই। ফুটপাতের একদিকে এক তৃতীয়াংশ পরিসর নিয়ে হকাররা বসবে আর দুই তৃতীয়াংশ মানুষের যাতায়াতের জন্য ছাড়তে হবে। এটাই সিদ্ধান্ত। আইন অনুযায়ী কাউকেই জায়গা থেকে সরানো যাবে না। সেই অনুযায়ী, টাউন ভেন্ডিং কমিটির তরফে সার্ভে করা হয়। যাদের সার্ভেতে নাম পেয়েছি তাদের ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ফুটপাত বাড়াতে হবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হকার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে নিউমার্কেটে বন্ধের ডাক জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের

আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: হকার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বুধবার বেলা তিনটে পর্যন্ত বন্ধ থাকে নিউমার্কেট এলাকা। জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের ডাকে নিউ মার্কেট চত্বরের দশটি ব্যবসায়ী সংগঠন এই বনধে অংশগ্রহণ করে। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও রাস্তা এবং ফুটপাত সহ হেরিটেজ হগ মার্কেটের আশেপাশে হকার নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এরই প্রতিবাদে বন্ধের ডাক দেয় ট্রেডার্স ফেডারেশন। এদিন তাদের মোট পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাতও করেন তাঁরা।

 

আরও পড়ুন: জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের পাল্টা বৈঠক জয়েন্ট হকার ফোরামের

এবিষয়ে কথা বলে মেয়রের ঘর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সিং জানান, মেয়রের সঙ্গে আলোচনা সার্থক হয়েছে। তাদের যা দাবি ছিল তাতে সম্মতি জানিয়েছেন মেয়র। নিয়ম অনুযায়ী দোকানের সামনে কুড়ি ফুট জায়গা ছেড়ে বসতে হবে হকারদের। এক তৃতীয়াংশ জায়গা ছাড়া বসতে পারবেন না হকাররা এটাই আমাদের দাবি ছিল যাতে সম্মতি জানিয়েছেন মেয়র। দিদি হকার সমস্যা সমাধানে প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন, মেয়রও কাজ করছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আমরা বিক্ষোভ তুলে নিচ্ছি। আর কিছুক্ষণ পর থেকেই নিউ মার্কেট খুলে যাবে।

 

এবিষয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার জানান, ট্রেডারসরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং একটা ইতিবাচক মিটিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচী ছিল তা ইতিমধ্যেই তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমার মনে হয় আলোচনার মধ্যে দিয়েই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়। তাই আলোচনার পথ সবসময় খোলা রাখা উচিত এবং আলোচনাই যেকোনো সমস্যার শেষ কথা। তিনই আরও বলেন, হকারদের কারা বসবে, কারা বসবেনা সেটা টাউন ভেন্ডিং কমিটির থেকে ঠিক করা হয়। পাশাপাশি হকারদের পরিচয়পত্র বিভিন্ন বোরো থেকে দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করেন দেবাশিষ কুমার।

 

অন্যদিকে, টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য শক্তিমান ঘোষ বলেন, হকারদের কুড়ি ফুট ছেড়ে বসতে হবে এটা কোথাও লেখা নেই। ফুটপাতের একদিকে এক তৃতীয়াংশ পরিসর নিয়ে হকাররা বসবে আর দুই তৃতীয়াংশ মানুষের যাতায়াতের জন্য ছাড়তে হবে। এটাই সিদ্ধান্ত। আইন অনুযায়ী কাউকেই জায়গা থেকে সরানো যাবে না। সেই অনুযায়ী, টাউন ভেন্ডিং কমিটির তরফে সার্ভে করা হয়। যাদের সার্ভেতে নাম পেয়েছি তাদের ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ফুটপাত বাড়াতে হবে।