২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যর্থ মিডিয়া’, বিস্ময় প্রকাশ প্রাক্তন বিচারপতির

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, রবিবার
  • / 39

নয়াদিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ারি: দেশের সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। ‘সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যর্থ’ বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, কিন্তু তাঁরা দায়িত্ব পালণে ব্যর্থ। গণতন্ত্র রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ চতুর্থ স্তম্ভ।” সংবিধান এবং সত্যকে রক্ষা করতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে ‘ব্যর্থ’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন বিচারপতি।

 

আরও পড়ুন: Imam Umer Ahmed Ilyasi ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে চব্য-চোষ্য দিয়ে ‘ইফতার’ সারলেন

শনিবার ক্যাম্পেইন ফর জুডিশিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড রিফর্মসের (CJAR) উদ্যোগে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ইন্টারন্যাশনাল ল-তে আয়োজিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ। বিচারপতি মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে দেশের চারটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম তিনটি ভেঙে পড়েছে। চতুর্থ স্তম্ভের অবস্থায়ও টালমাটাল। বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “দেশের চারটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম তিনটি স্তম্ভের কথা ভুলে যান। চতুর্থ স্তম্ভ হল মিডিয়া, তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সংবিধান রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সত্যকেও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হল, চতুর্থ স্তম্ভের ব্যর্থতা।”

আরও পড়ুন: বিবিসি ইন্ডিয়াকে ৩.৪৪ কোটি টাকা জরিমানা করল ইডি

 

আরও পড়ুন: এনসিপিইউএল-এর বিশ্ব উর্দু সম্মেলন

দেশে মূল ধারার মিডিয়ার থেকে অনেকাংশে ভালো কাজ করছে ডিজিটাল মিডিয়া, সে কথাও উঠে আসে বিচারপতির মন্তব্যে। এদিন ডিজিটাল মিডিয়ার প্রশংসা করে বিচারপতি বলেন, “মূল ধারার মিডিয়ায় সত্য ও নির্ভীক সংবাদ দেখতে পাচ্ছি না। কিছু ডিজিটাল মিডিয়া রয়েছে বলেই নির্ভীক সংবাদ পাচ্ছি।” যদি কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতার কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে তার জীবনের কোনও অর্থ নেই বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি জোসেফ। তাঁর বক্তব্য, “স্বাধীনতা ছাড়া জীবন চলবে কিভাবে? এখন দেখা যাচ্ছে, জীবনে সুরক্ষা আছে, কিন্তু স্বাধীনতা নেই। আমি মনে করি, আদালতগুলির ২১ নং অনুচ্ছেদকে গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখা দরকার। জীবন ও স্বাধীনতার উভয় দিককেই সমান গুরুত্ব দিয়ে বোঝা উচিত।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যর্থ মিডিয়া’, বিস্ময় প্রকাশ প্রাক্তন বিচারপতির

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, রবিবার

নয়াদিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ারি: দেশের সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। ‘সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যর্থ’ বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, কিন্তু তাঁরা দায়িত্ব পালণে ব্যর্থ। গণতন্ত্র রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ চতুর্থ স্তম্ভ।” সংবিধান এবং সত্যকে রক্ষা করতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে ‘ব্যর্থ’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন বিচারপতি।

 

আরও পড়ুন: Imam Umer Ahmed Ilyasi ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে চব্য-চোষ্য দিয়ে ‘ইফতার’ সারলেন

শনিবার ক্যাম্পেইন ফর জুডিশিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড রিফর্মসের (CJAR) উদ্যোগে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ইন্টারন্যাশনাল ল-তে আয়োজিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ। বিচারপতি মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে দেশের চারটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম তিনটি ভেঙে পড়েছে। চতুর্থ স্তম্ভের অবস্থায়ও টালমাটাল। বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “দেশের চারটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম তিনটি স্তম্ভের কথা ভুলে যান। চতুর্থ স্তম্ভ হল মিডিয়া, তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সংবিধান রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সত্যকেও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হল, চতুর্থ স্তম্ভের ব্যর্থতা।”

আরও পড়ুন: বিবিসি ইন্ডিয়াকে ৩.৪৪ কোটি টাকা জরিমানা করল ইডি

 

আরও পড়ুন: এনসিপিইউএল-এর বিশ্ব উর্দু সম্মেলন

দেশে মূল ধারার মিডিয়ার থেকে অনেকাংশে ভালো কাজ করছে ডিজিটাল মিডিয়া, সে কথাও উঠে আসে বিচারপতির মন্তব্যে। এদিন ডিজিটাল মিডিয়ার প্রশংসা করে বিচারপতি বলেন, “মূল ধারার মিডিয়ায় সত্য ও নির্ভীক সংবাদ দেখতে পাচ্ছি না। কিছু ডিজিটাল মিডিয়া রয়েছে বলেই নির্ভীক সংবাদ পাচ্ছি।” যদি কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতার কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে তার জীবনের কোনও অর্থ নেই বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি জোসেফ। তাঁর বক্তব্য, “স্বাধীনতা ছাড়া জীবন চলবে কিভাবে? এখন দেখা যাচ্ছে, জীবনে সুরক্ষা আছে, কিন্তু স্বাধীনতা নেই। আমি মনে করি, আদালতগুলির ২১ নং অনুচ্ছেদকে গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখা দরকার। জীবন ও স্বাধীনতার উভয় দিককেই সমান গুরুত্ব দিয়ে বোঝা উচিত।”